নববর্ষের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের ২ স্টেশন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৯ অপরাহ্ন, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | আপডেট: ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলা নববর্ষের দিন সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেলের শাহবাগ ও টিএসসি স্টেশসে যাত্রী উঠানামা বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে বাংলা বর্ষবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। এর নতুন নাম করা হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এই নামে এবার বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। এবারের আয়োজনে ২৮ জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের মধ্য শোভাযাত্রাটি ‘সকলের হয়ে উঠবে’ বলে মনে করছেন আয়োজন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিমান বাংলাদেশের দুটি ফ্লাইট বাতিল

পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান, বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক ও প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মামুন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্যসচিব ও চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলাম শেখ, শোভাযাত্রার উপকমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান, প্রক্টর সাইফুদ্দীন আহমদ এবং কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিসমূহের সদস্যরা।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখে উৎসবমুখর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করে থাকে। এটি দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ এবং গুরুত্ববহ বলে বিবেচিত হয়। প্রতিবছরের মতো এ বছরও চারুকলা অনুষদ পয়লা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা আয়োজনের কাজ চলছে।

আরও পড়ুন: বোমা পাওয়া যায়নি, ঢাকা-কাঠমান্ডু ফ্লাইট চলবে

এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্য ধারণ করে শোভাযাত্রায় তুলে ধরা হবে আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য। সেই সঙ্গে গতবছর জুলাই-অগাস্টের অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে ‘ফ্যাসিবাদকে’ বিদায় জানানো হয়েছে, সেই ফ্যাসিবাদের উত্থান যেন এই দেশে আর না হয়, সে প্রত্যাশাও ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে আয়োজন সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।