'বান্দরবানে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা হবে'

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ন, ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | আপডেট: ৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, ০৫ এপ্রিল ২০২৪
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া ব্যাংক লুট ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় অপরাধীদের দমন ও লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) নূরে আলম মিনা।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে থানচি উপজেলায় টাকা লুট হওয়া দুটি‌ ব্যাংকের শাখা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আরও পড়ুন: একাধিক চাঁদাবাজি মামলার পরও আশুলিয়া বিএনপি নেতা হুমকি-ধমকি

ডিআইজি নূরে আলম মিনা বলেন, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও অপরাধীদের দমনে যৌথ অভিযান হবে। রুমা ও থানচিতে ব্যাংকের টাকা লুট, পুলিশের ওপর হামলাসহ নানা অভিযোগে ৮ থেকে ৯টি মামলা হতে পারে। মামলার যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে।

ডিআইজি বলেন, ফান্ড সংগ্রহের জন্য দুটি ব্যাংকে হামলা হয়েছে। রুমায় বেশি টাকা রয়েছে, তাই ভল্ট ভেঙে নেওয়ার চেষ্টা করে। আর থানচিতে ঘটনার দিন হাটবার থাকায় ব্যাংকে লেনদেন বেশি হবে। তাই সেখানে ডাকাতি হয়েছে। লুট হওয়া অস্ত্র অবশ্যই উদ্ধার করা হবে বলে জানান ডিআইজি নূরে আলম মিনা।

আরও পড়ুন: বিশেষজ্ঞ দলের চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাসায়নিক ল্যাব বিষয়ক প্রশিক্ষণ

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুটে করে। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্রও লুট করে। একই সঙ্গে মসজিদ থেকে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে থানচিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের তিনটি শাখায় হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এরপর থেকে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া তারা বাইরে বের হচ্ছেন না।