ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পাবনায় ঝড়ো বাতাস, বৃষ্টি, গাছপালা ভেঙে যান চলাচল ব্যাহত

Abid Rayhan Jaki
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৫:১৬ অপরাহ্ন, ২৭ মে ২০২৪ | আপডেট: ১০:৫৭ অপরাহ্ন, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে পাবনায় ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টি হচ্ছে। এতে সড়কে উপড়ে পড়েছে গাছপালা। এতে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। ফরিদপুর উপজেলায় সড়কে গাছ ভেঙ্গে পড়ায় সাড়ে তিন ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।

রোববার দিবাগত মধ্যরাতের পর থেকে সোমবার বিকেল পাঁচটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চলছে প্রচণ্ড বাতাস বৃষ্টি। খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। অনেকে বাইরে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

আরও পড়ুন: মনজুর এলাহী'র উপরই তৃণমূলে আস্থা, রাজনীতির মাঠে বাড়ছে জনপ্রিয়তা

ঝড়ো বাতাস আর বৃষ্টিতে কিছু এলাকায় গাছপালা উপড়ে ভেঙ্গে পড়েছে। বিশেষ করে সড়কে গাছপালা ভেঙ্গে পড়ায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

পাবনা-বাঘাবাড়ি সড়কের ফরিদপুরে একটি স্থানে সড়কে ভেঙ্গে পড়ে বড় গাছ। এতে ঢাকার সাথে চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, পাবনার বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজটের। পরে দমকল বাহিনীর কর্মীরা গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।

আরও পড়ুন: সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ঢাকা থেকে চাটমোহরগামী শাহজাদপুর ট্রাভেলসের যাত্রী রাকিবুল ইসলাম হৃদয় বলেন, 'ঢাকা থেকে বাসে বাড়ি ফিরছিলাম। ভোর ৫টার দিকে বাসটি ফরিদপুর উপজেলার কাশেমের বটতলা নামক স্থানে পৌঁছালে দেখা যায় রাস্তায় বড় বড় গাছ ভেঙ্গে উপরে পড়ে আছে। পরে বাসের চালক ট্রিপল নাইনে ফোন করলে দমকল বাহিনী এসে গাছ কেটে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।'

শাহজাদপুর ট্রাভেলসের চালক শেখ ফরিদ বলেন, 'সড়কে যেভাবে বড় বড় গাছপালা পড়েছিল তাতে গাড়ি চলাচল সম্ভব ছিল না। অনেক গাড়ি আটকা পড়ে। উপায় না পেয়ে ট্রিপল নাইনে ফোন করে সাহায্য চাই। পরে দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে গাছ কেটে রাস্তা পরিষ্কার করে দিলে আমরা গাড়ি নিয়ে গন্তব্যে যাই। এতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ ছিল।'

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আলতাব হোসেন জানান, 'ট্রিপল নাইনে ফোন পেয়ে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করি। একটি বিশাল বড় গাছ উপরে রাস্তার উপর পড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়েছিল। পরে নিজেরা অনেক চেষ্টা করে গাছ সরাতে না পেরে স্থানীয় করাত আছে এমন শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসি। তাদের সহায়তায় গাছ কেটে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।'

ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক হেলাল উদ্দিন বলেন, 'এখন পর্যন্ত পাবনা জেলায় ৩০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ১২-১‌৫ কিলোমিটার।'