হত্যা মামলায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে

Abid Rayhan Jaki
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৭:৩৮ অপরাহ্ন, ০১ জুলাই ২০২৪ | আপডেট: ৬:২৬ অপরাহ্ন, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এক যুবক নিহতের ঘটনায় নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার তিনি গোপালগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক মো. কামরুল হাসান আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন গোপালগঞ্জ 

গোপালগঞ্জ সদর থানায় সূত্র জানায়, গত ৮মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে কামরুজ্জামান ভূইয়া লুটুল গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে ‘ছেলের হাতে’ মা খুন

পরে ১৪ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া বাজারে গুলি ও সহিংসতার ঘটনায় ওসিকুর ভূঁইয়াসহ (২৭) ছয়জন আহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক ওসিকুরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওই গ্রামের জলিল ভূঁইয়ার ছেলে ওসিকুর ভূঁইয়া পেশায় চা-বিক্রেতা ছিলেন। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বি এম লিয়াকত আলীর সমর্থক ছিলেন।

আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১

এ ঘটনায় ১৬ মে রাতে ওসিকুর ভূঁইয়ার বোন পারুল বেগম বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুলকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখ এবং ৪০/৫০ অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

এই মামলার পর হাই কোর্ট থেকে আগাম জামিন নেন কামরুজ্জামান ভূঁইয়া লুটুল। তখন হাইকোর্ট তাকে নিম্ন আদালত থেকে স্থায়ী জামিন নেওয়ার আদেশ দেয়।

সেজন্য তিনি রোববার গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তা নামঞ্জুর করে তকে কারাগারে পাঠায় ।  জানা যায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গণনার প্রথম পর্যায়ে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিএম লিয়াকত আলি অনেক ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও পরবর্তীতে কামরুজ্জামান বইয়ের টুটুলকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে এলাকায় তীব্র সন্তুষ্ট দেখা দেয়া বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে দুই বাপের সংঘর্ষ হয় ভয়ে ভয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত ও সদাতিক লোক আহত হয়।  উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল বিতর্কিত হওয়ায় গোপালগঞ্জ সদরের জনসাধারণের মাঝে অসন্তোষ দেখা যায়। এই হত্যাকাণ্ডের  ইস্যু কে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব এক গাজী হাফিজুর রহমান লিকুকে দরখাস্ত করা হয়।