ইতালি পাঠানোর নামে আড়াই কোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা রুবেলের

বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ এর ঘটনা বেড়েই চলছে। ইউরোপের দেশ ইতালি পাঠানোর কথা বলে ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন রিমেলি এলাহী রুবেল নামে এক প্রতারক।
ভুয়া অফার লেটার বানিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ী ইউসুফ আলীর কাছ থেকে এসব টাকা হাতিয়ে নেন ওই প্রতারক। উক্ত ঘটনায় ঢাকার গুলশান থানায় মামলা দায়ের করা হলে রুবেলকে আটক করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ইতিহাসের সবচেয়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে: প্রেস সচিব
এরপর ১ মাস কারাভোগের পর টাকা ফেরত দেওয়ার শর্তে জামিনে মুক্তি পান তিনি। একইসাথে রুবেল যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য পাসপোর্ট জব্দের পাশাপাশি বহির্গমনে নিষেধাজ্ঞাও দেয় আদালত। কিন্তু জামিনে বের হয়ে টাকা না দিয়ে উল্টো ইউসুফের বিরুদ্ধে মামলা দেন রুবেল। এখন বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেন রুবেল।
প্রতারণার শিকার ইউসুফ আলী অভিযোগ করেন, ২০২৩ সালের ২৩শে এপ্রিল আমার এজেন্সি মাহিয়া ট্রাভেল্স থেকে ইতালিতে লোক পাঠানোর জন্য ৯৯টি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ভিসা প্রসেসিংয়ের জন্য জমা দেই রুবেলের কাছে (বাসা নং-১৩, রোড নং-৯৯, থানা-গুলশান)।
আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন
একইসঙ্গে অফার লেটার বাবদ ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা জমা দেই। পরে জানতে পারি রুবেলের দেয়া নোলস্তাগুলো ভুয়া। এবং ভিসা প্রসেসিংয়ের কোন কাজ না করায় পাসপোর্ট ও টাকাগুলো ফেরত চাই। কিন্তু রুবেল আমার জমাকৃত পাসপোর্ট ও টাকা ফেরত দিতে অনীহা প্রকাশ করে।
সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১০ই ডিসেম্বর পাসপোর্ট ও টাকা ফেরত চাইলে রুবেল পাসপোর্টগুলো ফেরত দিবে না বলে জানায় এবং আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে। ফলে বাধ্য হয়ে রাজধানীর গুলশান থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। গুলশান থানা পুলিশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেন। রুবেল জামিনে মুক্তি পেয়ে টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়টি মীমাংসার প্রস্তাব দেয়।
গত ৬ই মার্চ বিষয়টি মীমাংসার জন্য রুবেলের বাসায় গিয়ে আলোচনায় বসি। কিন্তু সেখানে হট্টগোল করে রুবেল আমার ফাইলে থাকা আইএফআইসি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংকের মোট ৭২টি ডিপোজিট স্লিপ রেখে দেন। এরপরে বিবাদী আমার নামে খিলগাঁও থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ আমাকে আদালতে প্রেরণ করলে আমি জামিনে বের হই।
ইউসুফ আরও অভিযোগ করেন, প্রতারক রুবেল যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য আদালত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি খবর পেয়েছি, গোপনে পাসপোর্ট করে ইতালি পালিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে রুবেল। তিনি বলেন, রুবেলের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ০২নং ওয়ার্ডে এনায়েতপুরে। তার পিতার নাম এলাহী। বর্তমান ঠিকানা- বাসা নং- ১৪৯/এ, দক্ষিণ বনশ্রী, কে-ব্লক, ১৯ রোড। রুবেল যেন বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে রুবেলকে ফোন করলে তিনি রিসিভ করেনি।