রাবিতে হামলা, প্রতিবাদে ইবিতে ছাত্র ইউনিয়নের মশাল মিছিল

Sadek Ali
মো. মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৩৬ পূর্বাহ্ন, ২৯ মে ২০২৫ | আপডেট: ৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, ১০ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

জামাত নেতা এ. টি. এম. আজহারুল ইসলামের মুক্তির ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের মিছিলে হামলার 

প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

আরও পড়ুন: বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু, আহত অর্ধশত

বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে মশাল মিছিল বের করে তারা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে সংগঠনটি। 

এসময় তাদের ‘রাবিতে হামলা কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘৫২ -এর বাংলায়,  রাজাকারের ঠাই নাই’, ‘২৪-এর বাংলায়,  রাজাকারের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান দেশ থেকে বাকশাল দূর করেছিলেন: ড. মঈন খান

এসময় ইবি সংসদের সদস্য তানিম তানভীর বলেন, রাজাকার এবং মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি এটিএম আজাহারকে আপিল বিভাগ বেকসুর খালাস দিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। ১৯৭১ সালে এটিএম আজাহার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে সাহায্য করেছিল।  গতকাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণ মিছিল করতে গিয়েছিল, কিন্তু শাহবাগী বিরোধী ঐক্য নামে সন্ত্রাসী শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।  আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

ইবি সংসদের সহ-সভাপতি ওবায়দুর রহমান আনাস বলেন, গতকাল  চিহ্নিত রাজাকার এটিএম আজহারের একটি রায় প্রকাশ হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাকে বেকসুর খালাস দিয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রায়ের প্রতিবাদে যে মিছিল হয়েছিল, সেখানে একটি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী  হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা বায়ান্ন ও  একাত্তরের সাথে আপস করি নাই, চব্বিশের সাথেও করবো না। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সেই বায়ান্ন থেকে অন্যায়, অত্যাচার, অনিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে আসছে।”