ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর ওপর হামলা, সড়ক অবরোধ

ছোট বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় ফরিদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর জেলার যুগ্ম সদস্য সচিব বৈশাখী ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বিকেলে নগরকান্দা উপজেলার ভবুকদিয়া বাস স্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত আটটার দিকে বিক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক কয়েক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন।
আরও পড়ুন: রায়পুরায় কাউকেই গ্রীন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি বলে দাবি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের
স্থানীয়রা জানায়, বৈশাখী ইসলামের ছোট বোনকে কয়েকদিন ধরে শরীফ শেখ নামের এক যুবক উত্ত্যক্ত করে আসছিল। আর এই ঘটনাই স্থানীয় সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও সে সালিশ না হওয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বৈশাখী ইসলাম ঘটনাটি নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ বৈশাখীকে সাথে নিয়ে ফিরে গেলে বৈশাখীকে মারপিট করেন স্থানীয় বিএনপি নেতা বদিউজ্জামান তারা মোল্লা ও তার লোকজন। পরে বৈশাখী বিষয়টি নিয়ে ফেসবুক লাইভে এসে হামলার বিষয়টি জানান।
এই ঘটনা পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থল ভাবুকদিয়া বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে অভিযুক্তদের আটক করে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় কয়েকশ গ্রামবাসী পুলিশের গাড়ী আটকে রেখে বিক্ষোভ করতে থাকে। এ সময় পুলিশ ও গ্রামবাসীর সাথে হট্টগোল শুরু হয়। স্ন্ধা সাড়ে সাতটার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ও গ্রাামবাসীর মধ্যে ধস্তাধস্তি চলে। পরবর্তীতে উপজেলা প্রশাসন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্র¿ণে আসে।
আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় গ্রাম পুলিশদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা রাতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্সোভ করতে থাকে। ফলে কয়েক ঘন্টার জন্য এ মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
রাত ৯টার দিকে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর অনুরোধে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। রাত ১০টার দিকে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ শরীফ শেখ সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানায় পুলিশ।
নগরকান্দা থানার ওসি জানান, একটি মেয়েকে ইভটিজিং ঘটনার সূত্র ধরে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসার পথে স্থানীয়রা পুলিশের গাড়ী আটকিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে তারা পুলিশের গায়েও হাত তুলে। এ ঘটনার পর বিক্ষুব্দ শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে। পরে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।