বাড়ছে খুন খারাবি: নেপথ্যে মাদক কারবার
কাপাসিয়ায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি

কাপাসিয়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে। গত কয়েকদিনে ৪জন খুনের শিকার হয়েছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর মানুষ স্বস্তি প্রকাশ করলেও নানা কারণে কাপাসিয়ার মানুসের নিরাপত্তা এখন হুমকির মধ্যে পড়েছে। চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এলাকায় খুন খারাবি বেড়েছে। শুধু তাই নয় কাপাসিয়াজুড়ে গরু চুরিসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ত আগের থেকে বেড়েছে। এছাড়া মাটি কেটে বিক্রি করার নামে একটি চক্র জোর করে নদী ও খালের পাড় কেটে উজার করে দিচ্ছে। তাছাড়া মানুষের জমির মাটিও জোর করে কেটে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। থানা পুলিশের নির্লিপ্ততায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে মানুষ মনে করে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
গতকাল ৪ জুলাই দিবাগত রাতে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার আড়াল হানির দোকান এলাকায় জাহিদুল নামে এক যুবককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। নিহত ব্যক্তির বাড়ি সনমানিয়া ইউনিয়নের বরকান্দা গ্রাম। তিনি সনমানিয়া ইউনিয়নের ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বারের ছেলে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প বাতিলের দাবিতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মানববন্ধন
কিছু দিন আগেও একই এলাকায় মাদককে কেন্দ্র করে এক ব্যক্তির নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানায়, কাপাসিয়ার সনমানিয়া ইউনিয়নসহ সকল ইউনিয়নে চলছে হরদম মাদক ব্যবসা। ৫ই আগস্টের পর ডিলারশিপ রদবদল হয়েছে মাত্র। এই মাদক গোটা কাপাসিয়াকে শেষ করে দিয়েছে। আর মাদককে ঘিরেই সকল অপকর্ম হচ্ছে। মাদক চক্রের কারণে কাপাসিয়া দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠছে। সব অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত কাপাসিয়াকে শান্ত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ৫ আগস্টের পর কাপাসিয়ায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। মাদক চক্রের কারণে এলাকায় অপরাধ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এই চক্রের সঙ্গে রাজনৈতিক নেতারা জড়িত। কয়েকদিন আগেই করিহাতা ইউনিয়নে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। এর কয়েকদিন আগে চাদঁপুর ইউনিয়নে একজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগে রানীগঞ্জ এলাকায় একজনকে হত্যা করা হয়েছে। বারবার এমন নির্মম ঘটনা ঘটলেও বিচার না হওয়ায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।। প্রতিটি ঘটনায় শুধু হত্যাই নয়, হত্যার শিকার পরিবারগুলোকেও পরে হুমকি-ধমকির মাধ্যমে হয়রানি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফের ৪৮ ঘন্টার আল্টিমেটাম রবি শিক্ষার্থীদের
স্থানীয়দের দাবি, হত্যাকাণ্ডসহ সব অপরাধের পেছনের হোতাদের দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক। কাপাসিয়াকে যেন আর কারও সন্ত্রাসের রাজত্বে পরিণত না হতে হয়। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ এখনই প্রয়োজন।