রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে ফ্যাসিস্ট দ্বারা যে কেউ ক্ষতির শিকার হতে পারে: অ্যানি

Sanchoy Biswas
জাহাঙ্গীর লিটন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ন, ১৭ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৮:৩৭ অপরাহ্ন, ১০ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি বলেন, প্রতিটা রাজনৈতিক দল এবং রাজনৈতিক ব্যক্তি, আমার কথা বলার সময়, আমার কর্মসূচি দেওয়ার সময়, আমাকে খুব হিসাব-নিকাশ করে এগোতে হবে। হিসাব-নিকাশ করেই আমাকে কথা বলতে হবে। হিসাব-নিকাশ করেই আমাকে কর্মসূচি দিতে হবে। আপনারা সজাগ এবং সতর্ক থাকবেন। গতকালকের (বুধবার) গোপালগঞ্জের কথা আমরা ভুলিনি। আমাদেরকে খুব সতর্ক এবং সজাগ থাকতে হবে। রাজনৈতিক ঐক্য না থাকলে ফ্যাসিস্ট এবং লুটেরা দ্বারা যে কেউ ক্ষতির শিকার হতে পারে।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ৬০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আরও পড়ুন: বাবা লেচু মিয়ার জনপ্রিয়তা ধরে এগিয়ে যাচ্ছেন সৈয়দা আদিবা হোসেন

তিনি বলেন, কারও ভুলের কারণে, কোনো রাজনৈতিক দলের ভুলের কারণে, কোনো ব্যক্তির কারণে আমার স্বাভাবিক জীবন, স্বাভাবিক চলাফেরা, স্বাভাবিক বসবাস, স্বাভাবিক দেশ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হব।

আমরা যদি খুব সতর্ক না থাকি, যেভাবে ফ্যাসিস্ট দেশবাসীকে জিম্মি করেছিলো, ঘায়েল করেছিলো, আমরা সেই ঘায়েলের শিকার, ফ্যাসিস্টের শিকার, জিম্মি হওয়া, গুম-খুনের মুখোমুখি হওয়া, ওই ধরনের পরিস্থিতি থেকে আমাদেরকে বের হয়ে আসতেই হবে। এবং সে পরিস্থিতি থেকে যদি বের হয়ে আসতে হয়, স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে হয়, স্বাভাবিক ব্যবসা করতে হয়, তাহলে ঐক্যটাই হলো সবচেয়ে বড় জিনিস। সেখানে সর্বপ্রথম হলো রাজনৈতিক ঐক্য। যদি রাজনৈতিক ঐক্য না থাকে এবং তা যদি সুদৃঢ় না হয়, ইস্পাত-কঠিন দৃঢ় ঐক্য না হয়, তাহলে গোপালগঞ্জে গতকাল যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছিলো ফ্যাসিস্ট দ্বারা, খুনি দ্বারা, যারা গুম করেছে, খুন করেছে, লুটেরা দ্বারা ক্ষতির সম্মুখীন অন্য কেউও হতে পারে। সকল রাজনৈতিক শক্তির ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কোনো বিকল্প নাই।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির অজুহাতে সেতু নির্মাণ কাজ বন্ধ, লাপাত্তা ঠিকাদার

তিনি আরও বলেন, ব্যবসায়ীসহ সমাজে যারা আমরা বিভিন্ন পেশায় আছি, বিভিন্নভাবে বসবাস করি, সবার দায়িত্ব হলো এই মুহূর্তে সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। এ সরকার কোনো ব্যক্তির সরকার নয়, এ সরকার কোনো দলের সরকার নয়। এ সরকার আমাদের দেশের আন্দোলনের ফসল। এ সরকার জনগণের সরকার। আমাদের সবার সরকার। প্রত্যাশা থাকবে, দাবিও বেশি থাকবে।

শহীদ উদ্দীন চৌধুরী অ্যানি বলেন, যেহেতু এক বছর পার হয়েছে, সুতরাং দাবির পরিমাণ এত বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা জানি আপনারা সবকিছুই একসাথে করতে পারবেন না। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা অবনতি যেন না হয়, আইনশৃঙ্খলা আমার কাছে অগ্রাধিকার। আমি স্বাভাবিক জীবন চাই। স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে চাই, স্বাভাবিকভাবে বসবাস করতে চাই, স্বাভাবিক রাজনীতি করতে চাই।

জেলা বাজুসের সভাপতি সমীর কর্মকারের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, লক্ষ্মীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি শংকর মজুমদার, চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক স্বপন দেবনাথ, বাজুসের আইন উপদেষ্টা মিলন মণ্ডল, প্রহলাদ সাহা রবি, বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শিমুল সাহা, বাজুসের জেলা সাধারণ সম্পাদক পরেশ কর্মকার প্রমুখ।