জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা উপলক্ষে পটুয়াখালীতে প্রতীকী ম্যারাথন

ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি এবং এতে শহীদদের স্মরণে ঘোষিত ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে পটুয়াখালীতে জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজন প্রতীকী ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ৮টায় পটুয়াখালী শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন শহীদ হৃদয় তরুয়া চত্বর থেকে ম্যারাথনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মদপানে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ১
হৃদয় তরুয়া চত্বর থেকে শুরু করে তিন কিলোমিটার অতিক্রম করে বড় চৌরাস্তায় গিয়ে ম্যারাথন শেষ হয়। এসময় পুরো শহরজুড়ে এক ধরনের উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়।
ম্যারাথনে শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়নের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে উৎপাদনশীল করতে হলে দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে: ড. মঈন খান
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক জুয়েল রানা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মহসীন উদ্দীন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রশীদ, ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাওলাদার মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক জাকির হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সহ অন্যান্যরা।
জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন বলেন, গণ-অভ্যুত্থান ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে হবে। তরুণদের মধ্যে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও অধিকারবোধ জাগ্রত করতেই এ আয়োজনের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি জানান, বর্ষপূর্তির এই কর্মসূচি শুধু স্মরণ নয়, বরং একটি মূল্যবোধনির্ভর সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতিও বহন করে।
শেষে প্রতীকী ম্যারাথনে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে মো. রাইয়ান, কাইয়ুম মৃধা ও খাইরুল ইসলাম। পরে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন জেলা প্রশাসক। এরকম আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ম্যারাথনে অংশ গ্রহণকারীরা।