কমলনগরে খাদ্যবান্ধবের চালে ভেজালের অভিযোগ

Sanchoy Biswas
কবির হোসেন রাকিব, কমলনগর (লক্ষ্মীপুর)
প্রকাশিত: ৫:৫১ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৫১ পূর্বাহ্ন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল নিয়ে ভেজালের অভিযোগ উঠেছে। কার্ডধারী সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করেছেন, সরকারি সুবিধার চালের বস্তায় পুরোনো ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে চাল বিতরণকালে এ ধরনের চিত্র দেখা যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বস্তার ভেতরে পুরোনো-নতুন চাল একসাথে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে করে নগদ টাকায় সরকারি সুবিধা নিতে গিয়ে তাদের মানহীন চাল নিতে বাধ্য হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে তারা সরকারের কঠোর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : এ্যানি

কিছু কার্ডধারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এটা শুধু ভেজাল নয়, বরং কালোবাজারিদের সাথে গোপন আঁতাতের ফল। খাদ্যগুদামের কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই পুরোনো চাল নতুন চালের সঙ্গে মিশিয়ে সেলাই করে দেওয়া হয়। অথচ ভিজিডির চাল খুব ভালো মানের। খাদ্য অফিসাররা মনিটরিং করলে বিষয়টি সহজেই ধরা পড়ত।”

ডিলাররাও এক পর্যায়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন। কার্ডধারীর নাম-ঠিকানার সাথে মিল না থাকায় অনেক সময় চাল দিতে অস্বীকৃতি জানাতে হয়। পরে সংশোধনের আশ্বাস দিয়ে ফিরিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় জব্দকৃত বালু অপসারণে জরিমানা

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ডিলার বলেন, “আমাদের হাতে যা বস্তা দেওয়া হয়, সেটাই আমরা কার্ডধারীদের মধ্যে বিতরণ করি। প্রতিটি বস্তায় ৩০ কেজি করে চাল থাকে। তবে মাঝে মাঝে মনে হয় চালের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে।”

উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলারের আওতায় মোট ৭ হাজার ৩৬২ জন সুবিধাভোগী রয়েছেন। এদের জন্য প্রতিমাসে নিয়মিত চাল বিতরণ করা হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তাদের মতে, সঠিক মনিটরিং ও কঠোর নজরদারি ছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির প্রকৃত সুফল পাওয়া সম্ভব নয়।