বিএনপিতে যোগ দিলেন মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৪৫ অপরাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত মডেল গ্রুপের চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান মাসুদ আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ মহল থেকে সরে এসে বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন শামীম ওসমান পরিবার এবং ওসমান ভ্রাতৃদ্বয়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মাসুদ নিজেকে এখন সংস্কারবাদী দাবি করে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর হাতে ফুল তুলে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক ছায়েদুল আলম বাবুল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনসহ জেলা ও মহানগরের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : এ্যানি

রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ওসমান পরিবারের সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মাসুদকে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়তে হয়েছে। স্থানীয়ভাবে আলোচিত-সমালোচিত এই ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে।

বিএনপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, মাসুদ অতীতে আওয়ামী লীগের নানা সুবিধা নিয়েছেন। এখন রাজনৈতিক অবস্থান বদলে বিএনপিতে সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের আশঙ্কা, এতে দলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে এবং ত্যাগী নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুন: কুলাউড়ায় জব্দকৃত বালু অপসারণে জরিমানা

অন্যদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, মাসুদ আসন্ন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এজন্য বিএনপির স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রক্ষা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এক অনুষ্ঠানে বলেন, “মাসুদ দলের কেউ না, বিএনপিরও কেউ না। একসময় তিনি ছিলেন ওসমান পরিবারের ঘনিষ্ঠ, আজ দাবি করছেন মেড ইন নারায়ণগঞ্জ।”

স্থানীয়দের দাবি, দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিএনপির হাইকমান্ডের উচিত বিতর্কিত ব্যক্তিদের বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া। অন্যথায় দলের ভেতরেই বিভক্তি ও হতাশা তৈরি হতে পারে বলে তারা মনে করছেন।