গাজীপুরে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের দুই ঘন্টা ধরে দুই মহাসড়ক ব্লকেড

গাজীপুরে টানা দুই ঘন্টা ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে সড়ক ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেছে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদ নিয়ে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে বেলা বারোটার দিকে জয়দেবপুর শিমুলতলী সড়কের ডুয়েট গেটের পাশে এমআইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সামনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিলসহকারে ভুরুলিয়া রেল গেট, শিববাড়ি হয়ে চন্দনা চৌরাস্তায় এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে।
আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা
গাজীপুর ডিপ্লোমা প্রকৌশলী কল্যাণ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের সড়ক পথ অবরোধের ফলে ঢাকা-জয়দেবপুর, শিমুলতলী গামী সড়ক, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জানান, যারা কারিগরি শিক্ষা এবং ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিরুদ্ধে অব্যাহত ষড়যন্ত্র ও অযৌক্তিক দাবির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা
কর্মসূচিতে গাজীপুর শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও এমআইএসটি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, রয়েল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ভাওয়াল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরাও এতে যোগ দেন।
ডিপ্লোমা প্রকৌশলীরা জানান, দেশের ৪০ লক্ষাধিক ডিপ্লোমা প্রকৌশলী ও প্রায় ৪ লাখ পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তারা আরও বলেন, বিএসসি প্রকৌশল শিক্ষার্থীরা যে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক। তাদের প্রতিটি দাবি দেশের চালিকাশক্তি ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ক্যারিয়ারে আঘাত হানে। এই দাবি জাতীয় কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়াবে।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আজকের মত কর্মসূচি এক হলেও তাদের দাবি আদায়ের আন্দোলন শেষ হয়নি। তাদের দাবি মানা না হলে পরবর্তী সময়ে কঠোর কর্মসূচি প্রদান করা হবে। তিনি বলেন, মীমাংসিত কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ নেই।
এদিকে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম দুইটি মহাসড়ক অবরোধের ফলে উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। দুই মহাসড়কের উভয়দিকে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। এতে গন্তব্যগামী যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। অনেকে বাস থেকে নেমে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে রওনা দেন।
বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন খান জানান, বেলা ১টা থেকে শিক্ষার্থীরা চন্দনা চৌরাস্তা থেকে শিববাড়ি পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে রাখে। বেলা তিনটার দিকে তাদের ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করে চলে যায়।