দিনাজপুরে সাপের কামড়ে ৩ গৃহবধূর মৃত্যু

Sadek Ali
অমর গুপ্ত, দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:৩১ অপরাহ্ন, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:৫৬ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইদিনের ব্যবধানে সাপের কামড়ে তিন গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ৭নং শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর চুনিয়াপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্রের স্ত্রী কনিকা রানী (৪৫) এবং ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী বুলবুলি বেগমের (৩৩) সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: নাজিরপুরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা

একইভাবে গত রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের পুখুরী সিংপাড়া গ্রামের শ্যামল রায়ের স্ত্রী বীনা রানীর (৪৪) সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে।

সংশ্লিষ্টদের পরিবার সূত্র জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার ৭নং শিবনগর ইউনিয়নের রাজারামপুর চুনিয়াপাড়া গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্রের স্ত্রী কনিকা রানী (৪৫) তার রান্না করার সময় রান্নাঘরের খড়ির মধ্যে থাকা সাপ বেরিয়ে তার পায়ে কামড় দেয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তার অবস্থা অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথিমধ্যে কনিকা রানীর মৃত্যু ঘটে।

আরও পড়ুন: পিরোজপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটিকে জামায়াতের শুভেচ্ছা

একইভাবে একইদিন সকালে ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের রামেশ্বরপুর গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী বুলবুলি বেগম (৩৩) মাটির চুলে থেকে ছাই তোলার সময় চুলায় থাকা সাপ তার ডান হাতে কামড় দেয়। পরিবারের লোকজন তাকে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তারও অবস্থায় গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও দিনাজপুর মেডিজেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিন্তু পথিমধ্যে তারও মৃত্যু হয়।

অপরদিকে রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে ৩নং কাজিহাল ইউনিয়নের পুখুরী সিংপাড়া গ্রামের শ্যামল রায়ের স্ত্রী বীনা রানী (৪৪) ঘরের মেঝের মধ্যে গর্ত পা দিয়ে সেই গর্তের মুখ বন্ধ করার সময় গর্তের মধ্যে থাকা সাপ তার ডান পায়ে কামড় দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই ছটপট করে কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত্যু কোলে ঢলে পড়েন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নূরে আলম বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুদ রয়েছে। তবে সাপের কামড়ের লক্ষণ এবং কি সাপ কেটেছে তা জেনেই রোগীর শরীরে অ্যান্টিভেনম ইঞ্জেকশন প্রয়োগ করা হয়। কিন্তু সাপের কাটা রোগী দু’টোর অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় এবং একজন রোগীর সাপোর কাটার কোন লক্ষণ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর মেডিজেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।