রাতে শীত দিনে তাপ, বাড়ছে রোগীর চাপ

Sadek Ali
মুহাম্মাদ নজরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২:১৭ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:১৭ অপরাহ্ন, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে দিনের বেলায় প্রচন্ড গরম আবহাওয়া আর রাতে অনুভব হচ্ছে ঠান্ডা শীত। এদিকে সরকারি বেসরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকগুলোতে বাড়ছে ডায়রিয়া, পেট ব্যাথা, জ্বর, সর্দিকাশি সহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগীর ভিড়। সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত রোগীরা হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুরা। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এমনটি হচ্ছে। 

আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ প্রদান

স্থানীরা বলছেন, দিনের বেলায় প্রচন্ড রোদ ও গরম আবহাওয়া অন্যদিকে রাতে বেশ ঠান্ডা অনুভব হচ্ছে। এদিকে জনবল সংকট ও রোগীর বাড়তি চাপের কারণে সরকারি বিভিন্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসক ও নার্সরা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে মেয়ে শিশুর চিকিৎসা নিতে আসা শাহানাজ বেগম বলেন, দিনের বেলায় গরমে ফ্যান চালাতে হচ্ছে আর রাতের বেলায় কম্বল কাঁথা গায়ে দিতে হচ্ছে। এই আবহাওয়ার কারণে আমার মেয়ে কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছে।

আরও পড়ুন: খেয়াঘাটের ভাড়া নিয়ে টেঁটাযুদ্ধের পর প্রশাসনের টনক নড়েছে

রোকেয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা রোগী বলেন, পেট ব্যাথার সাথে বমি ও পাতলা পায়খানা শুরু হয়। নিজ গ্রামে ঔষধের দোকান থেকে স্যালাইন ও টেবলেট কিনে খেয়েও কাজ না হওয়ায় হাসপাতালে এসেছি। 

২৫০ শয্যা হাসপাতাল সুত্র জানায়, এখানে মুঞ্জুরিকৃত পদের সংখ্যা ১৪৩ টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ৭৮ জন। ৬৫ টি পদ শুন্য। প্রথম শ্রেনীর চিকিৎসক ৫৮ জনের মধ্যে কর্মরত ৩৬ জন। শুন্য ২২ পদ। এই জনবলে চলছে এ হাসপাতাল। 

আরও জানায়, গত ১ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এ হাসপাতালে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় নয় হাজার নয়শত ৯৫ জন, জরুরি বিভাগে ছয় হাজার  পাঁচ শত ৪০ ও অন্তবিভাগে নয় হাজার আট শত ২০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ৫১জনের। 

আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো, জাহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল মঙ্গলবার বেলা তিনটায় সিরাজগঞ্জ সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০.০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন ২৩.০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই জেলার উপর দিয়ে বহমান মৃদু তাপ প্রবাহটি অব্যহত রয়েছে।

২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা, আকিকুন নাহার মনি বলেন, ডায়রিয়া, পেট ব্যাথা, শ্বাস কষ্ট, জ্বর, সর্দিকাশি সহ নানা রোগে আক্রান্ত রোগী হঠাৎ করে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন। এখানে জনবল সংকট রয়েছে। স্বল্প সংখ্যক জনবল নিয়ে চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।