ইসরায়েলের হামলার পরও গাজায় যুদ্ধবিরতি ‘ঝুঁকিতে নয়’: ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি ইসরায়েলের প্রাণঘাতী হামলার পরও ঝুঁকির মুখে পড়েনি। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, এসব হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
আরও পড়ুন: ডালিম যেভাবে গড়ে তোলে সংস্কৃতি, খাদ্য, হস্তশিল্প ও ঐতিহ্য
মঙ্গলবার এয়ারফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধবিরতি কোনোভাবেই ঝুঁকিতে নেই’।
তিনি আরও বলেন, ওরা (ফিলিস্তিনি পক্ষ) একজন ইসরায়েল সৈন্যকে হত্যা করেছে, তাই ইসরায়েল পাল্টা হামলা করেছে—এবং তাদের প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত ছিলই। এমন ঘটনা ঘটলে প্রতিক্রিয়া অবশ্যই আসবে।
আরও পড়ুন: ইসরায়েলের নতুন হামলায় গাজায় নিহত ১৮, যুদ্ধবিরতি নিয়ে শঙ্কা
ইসরায়েল এ ঘটনায় হামাসকে দায়ী করেছে, যদিও কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং বহু নারী-শিশুসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের লক্ষ্য ছিল ‘প্রতিরোধ যোদ্ধারা’।
হামলা চালানো হয়েছে তথাকথিত “ইয়েলো লাইন” বা “হলুদ রেখা” বরাবর—যে কৃত্রিম সীমার নিচে ইসরায়েল সেনারা যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী পশ্চাদপসরণ করে অবস্থান নিয়েছে। এ রেখা গাজার মাঝ বরাবর—গাজা সিটির দক্ষিণে ও খান ইউনুসের উত্তরে—অঞ্চলটিকে দুই ভাগে ভাগ করে রেখেছে।
১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর ট্রাম্পের ঘোষিত ২০ দফা যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় বন্দি বিনিময়, ২ হাজার ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি ও গাজা পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজার ৫০০-রও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ। এই হত্যাযজ্ঞকে আন্তর্জাতিক মহল ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।





