রমজানে নিত্যপণ্য আমদানিতে শর্ত শিথিল

আগামী রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সহজ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যবসায়ীরা ১১টি পণ্য আমদানি করতে ঋণপত্র বা এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে মার্জিন কমাতে পারবেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এতে বলা হয়, রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমদানি সহজ করার মাধ্যমে এসব পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার উদ্দেশ্যে এ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা এ সুবিধা পাবেন বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: আইএফআইসি ব্যাংকে আবারও উত্তাল কর্মসূচি
নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, রমজান মাস উপলক্ষে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় ওই পণ্যগুলোর আমদানি সহজ করার মাধ্যমে মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখাসহ প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে চাল, গম, পেঁয়াজ, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি, ডিম, ছোলা, মটর, মসলা এবং খেজুরের আমদানি ঋণপত্র স্থাপনের ক্ষেত্রে সংরক্ষিতব্য নগদ মার্জিনের হার ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এতদিন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ মার্জিন বা জামানত মূল্য রাখার নির্দেশনা থাকলেও এখন সেই মার্জিন নির্ধারণ হবে গ্রাহক ও ব্যাংকের সম্পর্কের ভিত্তিতে। খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলসি মার্জিন শিথিল করার কারণে আমদানিকারকরা উৎসাহিত হবেন। এতে তাদের নগদ টাকা কম লাগবে, আমদানি খরচও কম হবে। এর ফলে বাজারে এসব পণ্যের দাম কিছুটা হলেও কমবে।
আরও পড়ুন: ৫ দিন সাময়িক বন্ধ থাকবে রূপালী ব্যাংকের ব্যাংকিং কার্যক্রম