রাবি ভিসি: ‘তোমরা হাতাহাতি করবা, আর ইলেকশন আমাকে করতে হবে—মামার বাড়ির আবদার’

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১:২৭ অপরাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব বলেছেন, *“তোমরা তালা দিবা, হাতাহাতি করবা, আর তোমাদের ইলেকশন আমাকে করে দিতে হবে—এটা মামার বাড়ির আবদার ছাড়া কিছু না।”*

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন রাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: ভাঙা হাত নিয়েই প্রচারণা চালাচ্ছেন ছাত্রদলের আবিদুর

জানা যায়, রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে ছাত্রদল, সাবেক সমন্বয়ক ও ছাত্রশিবিরের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাকে ঘিরে উপাচার্যের এই প্রতিক্রিয়া আসে।

গত রোববার সকালে ছাত্রদল কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে ভাঙচুর ও তালা ঝোলানোর পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং ছাত্রশিবিরের কর্মীরা সেখানে গেলে কয়েক দফা ধস্তাধস্তি হয়। চার ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর বেলা দুইটার দিকে মনোনয়নপত্র বিতরণ পুনরায় শুরু হয়।

আরও পড়ুন: মাহিন সরকারের প্রার্থিতা প্রত্যাহার ইস্যুতে বিস্ফোরক তথ্য দিলেন ভিপি প্রার্থী জামাল উদ্দিন খালিদ

সংবাদ সম্মেলনে ভিসি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যা কিছু ঘটে, তার প্রভাব পড়ে রাকসু নির্বাচনে। এজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে। ছাত্ররা যদি নিয়মকানুন মানতে না পারে, তাহলে নিজেরাই রাকসুর অযোগ্য প্রমাণ করবে।

তিনি আরও বলেন, অসভ্যতা চলতে থাকলে রাকসু নির্বাচনও অসভ্যতার শিকার হবে। এর দায় ছাত্রদেরই নিতে হবে।

রাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, আমি চাই নির্বাচন সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্যে হোক। তবে পরিস্থিতি কী হবে, সেটা নির্ভর করছে শিক্ষার্থীদের আচরণের ওপর।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মইন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ মো. মতিয়ার রহমান এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।