উত্তরায় রাজউকের এপার্টমেন্ট প্রকল্পে ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং আইডি বরাদ্দের লটারি অনুষ্ঠিত

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ১০:৪৮ অপরাহ্ন, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কর্তৃক বাস্তবায়িত উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরের এপার্টমেন্ট প্রকল্পে বরাদ্দ প্রাপ্তদের মধ্যে ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং আইডি প্রদানের জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকাল ১০টায় রাজউক অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ লটারির উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আট নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘এ’ ব্লকে নির্মিত ১,৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের সকল পর্যায়ের বরাদ্দপ্রাপ্তদের জন্য এটি ছিল ১০ম লটারি। পাশাপাশি প্রকল্পের Irregular Cluster Building সমূহে কার পার্কিং আইডি বরাদ্দের জন্যও লটারি অনুষ্ঠিত হয়।

রাজউকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে অত্যাধুনিক সফটওয়্যারের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সংখ্যক পর্যায়ের বাছাই শেষে লটারির ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে উপস্থিত বরাদ্দপ্রাপ্তদের মাধ্যমেই পর্যায় সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়।

আরও পড়ুন: ট্রিপোলজির জমকালো যাত্রা শুরু, গ্র্যান্ড ওপেনিং অনুষ্ঠিত হলো ঢাকায়

এ লটারির মাধ্যমে মোট ১৪৩টি ফ্ল্যাট ও ৫৪২টি কার পার্কিং আইডি বরাদ্দ প্রদান করা হয়। উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে মোট ৭৯টি ভবনে ৬,৬৩৬টি ফ্ল্যাট রয়েছে। প্রকল্পের ৫৫ শতাংশ জমি খেলার মাঠ, পার্ক, সবুজায়ন ও রাস্তার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। প্রতিটি ভবনে রয়েছে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম এবং এলপি গ্যাস সরবরাহের আধুনিক প্রযুক্তি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজউক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উত্তরা এপার্টমেন্ট প্রকল্পের মতো বৃহৎ পরিসরের আবাসিক উদ্যোগ নগরবাসীর জীবনে নতুন মাত্রা যোগ করবে। রাজউক সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা বজায় রেখে লটারি কার্যক্রম পরিচালনায় বদ্ধপরিকর।”

ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং আইডি বরাদ্দপ্রাপ্তরাও লটারির স্বচ্ছতা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজউক-এর সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) শেখ মতিয়ার রহমান, সদস্য (পরিকল্পনা) গিয়াস উদ্দিন, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) মোহাম্মদ বশিরুল হকসহ রাজউকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।