ভূমধ্যসাগরে ডুবলো নৌকা, ভেসে তীরে এলো ৫৭ লাশ
ভূমধ্যসাগরের লিবিয়ার উপকূল থেকে ৫৭ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্ট গার্ড। এদের মধ্যে বেশিরভাগই পাকিস্তান, সিরিয়া ও মিশরের নাগরিক। অভিবাসীদের বহনকারী দু’টি নৌকা ডুবে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নৌকাডুবির পর লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় বিভিন্ন শহরের উপকূলে এসব মরদেহ ভেসে আসে। পরে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
আরও পড়ুন: হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী দু’টি নৌকা ডুবে যাওয়ার পর পশ্চিম লিবিয়ার বিভিন্ন শহরের কাছে অন্তত ৫৭টি মৃতদেহ উপকূলে ভেসে এসেছে বলে একজন উপকূলরক্ষী কর্মকর্তা এবং একজন সাহায্যকর্মী জানিয়েছেন।
ডুবে যাওয়া নৌকায় থাকা একজন জীবিত ব্যক্তি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ২ টায় ইউরোপের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া একটি নৌকায় প্রায় ৮০ জন আরোহী ছিলেন। পরে ওই নৌকাটি ডুবে যেতে থাকলে, তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। তা সত্ত্বেও নৌকা পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিটি নৌকা থামাতে রাজি হননি।
আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল
উপকূলরক্ষী কর্মকর্তা ফাথি আল-জায়ানি জানিয়েছেন, পূর্ব ত্রিপোলির কারাবুল্লি থেকে এক শিশুসহ ১১টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত এসব শরণার্থীরা পাকিস্তান, সিরিয়া, তিউনিসিয়া ও মিসরের নাগরিক।
পশ্চিম ত্রিপোলির সাবরাথায় অবস্থানরত রেড ক্রিসেন্টের এক ত্রাণকর্মী জানান, তারা গত ৬ দিনে সমুদ্র উপকূল থেকে ৪৬টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। মৃতদের সবাই একই নৌকার যাত্রী ও ‘অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশী’।
আগামী দিনগুলোতে আরও মরদেহ ভেসে আসতে পারে বলে আশঙ্কাও প্রকাশ করেন এই ত্রাণকর্মী।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা এ মাসে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে ভূমধ্যসাগরের মধ্য দিয়ে উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার পথে এ পর্যন্ত ৪৪১ জন অভিবাসন প্রত্যাশী ও শরণার্থী পানিতে ডুবে মারা গেছেন। গত ছয় বছরের হিসাবে ৩ মাসের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা এটাই সর্বোচ্চ।





