সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি: ন্যাটোর মতো যৌথ নিরাপত্তা কাঠামো গঠনের ঘোষণা

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ২:৩৫ অপরাহ্ন, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

সৌদি আরব ও পাকিস্তান কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। পারমাণবিক শক্তিধর পাকিস্তান ও তেলসমৃদ্ধ সৌদির এই চুক্তিকে ন্যাটোর মতো প্রতিরক্ষা ছাতা আখ্যা দিয়েছে সৌদি গণমাধ্যম।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রিয়াদে সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই চুক্তিতে সই করেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে

 যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের সামরিক সহযোগিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিলো।

সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, চুক্তির লক্ষ্য হলো আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠা, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং যেকোনো আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যৌথ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে তোলা।

চুক্তি অনুযায়ী, যে কোনো এক দেশের ওপর আক্রমণ মানে উভয় দেশের ওপর আক্রমণ। এই নীতিকে সৌদি বিশ্লেষকরা ন্যাটোর প্রতিরক্ষা নীতির সঙ্গে তুলনা করেছেন।

আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১ ফিলিস্তিনি

সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান এক্স-এ লিখেছেন, “সৌদি আরব ও পাকিস্তান যেকোনো আগ্রাসীর বিরুদ্ধে এক ফ্রন্ট— সবসময় এবং চিরকাল।”

সৌদি গণমাধ্যমে উচ্ছ্বাস

সৌদি দৈনিক ওকাজ চুক্তিকে “ইসলামি ফ্রন্টের ঐতিহাসিক দুর্গ” বলে অভিহিত করেছে। লেখক মুতেব আল আউয়াদ বলেছেন, সৌদির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে পাকিস্তানের পারমাণবিক প্রতিরোধশক্তি যুক্ত হয়ে আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সৌদির অর্থনৈতিক শক্তি ও আধ্যাত্মিক নেতৃত্বের সঙ্গে পাকিস্তানের সামরিক অভিজ্ঞতা ও পারমাণবিক সক্ষমতা মিলে ইসলামি বিশ্বের প্রতিরক্ষা কাঠামোকে শক্তিশালী করবে।

চুক্তির মূল দিকগুলো

* যৌথ অভিযান পরিকল্পনা

* গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়

* সামরিক মহড়া

* নৌ ও বিমান সহযোগিতা

* প্রতিরক্ষা শিল্পে যৌথ উন্নয়ন

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মুনীফ আম্মাশ আল-হারবি জানান, এই চুক্তি শুধু প্রতিরক্ষা নয়, বরং আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।

গাজা যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে চুক্তি

চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো ইসরায়েলের গাজায় চলমান হামলার মধ্যেই। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষের হিসাবে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রকৃত সংখ্যা এর চেয়ে বহুগুণ বেশি হতে পারে।