গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও ৬৫ নিহত

Sadek Ali
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, ০২ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৪৬ অপরাহ্ন, ২৮ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে আরও অন্তত ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে স্কুল, ঘরবাড়ি ও শরণার্থী শিবির। এদিকে হাজারো মানুষ দক্ষিণাঞ্চলের দিকে পালিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

আরও পড়ুন: হংকংয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বেড়ে ১২৮

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজায় ইসরায়েলের অবিরাম হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ থামার কোনো লক্ষণ নেই। বুধবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত অন্তত ৬৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তবে হামাস যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে কি না, তা এখনও নিশ্চিত নয়।

বুধবার গাজার জায়তুন এলাকার আল-ফালাহ স্কুলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। যুদ্ধের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত হওয়া ওই স্কুলে শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষ ছিলেন। হামলার পর ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা উদ্ধারকাজ শুরু করলে আরেকটি হামলা হয়। এতে গুরুতর আহত হন অনেকে। আহতদের মধ্যে কর্মী মুন্তাসির আল-দাহশান পরে মারা যান।

আরও পড়ুন: লেবাননে হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে নতুন হামলা চালাল ইসরাইল

আল-আহলি আরব হাসপাতাল জানিয়েছে, এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন।

একই দিনে দারাজ মহল্লার একটি বাড়িতে সাতজনের মৃত্যু হয়। জায়তুনের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে আরেক হামলায় এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত ৬৫ জনের মধ্যে ৪৭ জনই গাজা সিটিতে প্রাণ হারিয়েছেন।

গাজার সবচেয়ে বড় শহরটি ইসরায়েলের টানা বোমাবর্ষণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে আবাসিক ভবন ও স্কুল, মারা যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। হাজার হাজার বাসিন্দা দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছেন, তবে সেখানেও হামলার শিকার হচ্ছেন তারা।

আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটি (আইসিআরসি) জানিয়েছে, গাজা সিটিতে তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে হচ্ছে। গত সপ্তাহে ডক্টরস উইদআউট বর্ডারস (এমএসএফ) একই ঘোষণা দিয়েছিল।

গাজা সরকারের মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা আল-রাশিদ সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে—যা উত্তর থেকে দক্ষিণে যাতায়াতের প্রধান পথ। ফলে পালাতে থাকা মানুষজন আরও বিপদে পড়ছেন।

গাজা সিটির পশ্চিমে আল-শিফা হাসপাতালের প্রাঙ্গণে অজ্ঞাত ১১ জনের মরদেহ গণকবরে দাফন করা হয়েছে। হাসপাতালটি অব্যাহত হামলার মুখে রয়েছে। এর ভেতরে কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীরা মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছেন।