জেনে নিন কতদিন পর পর বিছানার চাদর পরিবর্তন করবেন

Any Akter
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ন, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আমাদের জীবনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সময় কাটে বিছানায়ঘুমিয়ে, বিশ্রাম নিয়ে কিংবা নেহাত শুয়ে থেকে। তাই বিছানার চাদর শুধু আরামদায়কই নয়, পরিষ্কার হওয়াও অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত চাদর পরিষ্কার না করলে তা হয়ে উঠতে পারে রোগজীবাণুর অভয়ারণ্য, যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।

আরও পড়ুন: অতিরিক্ত হাসিই হতে পারে মৃত্যু! গবেষণায় উঠে এলো চমকপ্রদ তথ্য

ঘুমের সময় দেহ থেকে ঝরে পড়ে অসংখ্য মৃত ত্বককোষ। ঘাম ও ধুলাবালুর সঙ্গে মিশে সেগুলো জমে থাকে চাদরে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই মৃত ত্বককোষই ধুলাকীটদের প্রধান খাদ্য। চাদর ধোয়া দেরি হলে ত্বককোষ জমতে থাকে, আর সেই সঙ্গে বাড়ে ধুলাকীটের সংখ্যা। এসব কীট অ্যালার্জি, হাঁচি, নাক বন্ধ কিংবা হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্টজনিত রোগের কারণ হতে পারে।

আরও পড়ুন: ৮ ঘণ্টা ঘুমিয়েও কেন ক্লান্ত লাগে? জানুন ৭টি বৈজ্ঞানিক উপায়

এছাড়া দীর্ঘদিন চাদর না ধুলে তাতে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে। যা সংক্রমণ, ত্বকে লালচে দাগ, চুলকানি, ব্রণ, ফুসকুড়ি কিংবা ছত্রাক জন্মের মাধ্যমে ফুসফুসের সমস্যাও তৈরি করতে পারে। নোংরা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাদর ঘুমের মান নষ্ট করে, এমনকি দীর্ঘমেয়াদি নিদ্রাহীনতার ঝুঁকিও বাড়ায়।

বিশেষজ্ঞরা তাই সপ্তাহে অন্তত একবার চাদর ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক পরিচ্ছন্নতাপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ডার্টি ল্যাবস-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা ড. পিট হে বলেন, সপ্তাহে একবার না হলেও অন্তত দুই সপ্তাহে একবার অবশ্যই বিছানার চাদর ধোয়া উচিত। একই মত দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের লেখক ও নিদ্রাবিশেষজ্ঞ ড. লিন্ডসে ব্রাউনিং।

তবে যাদের শরীর বেশি ঘামে বা ত্বক সংবেদনশীল ও অ্যালার্জিপ্রবণ, তাদের ক্ষেত্রে সপ্তাহে একবারের বেশি সময় না ধুয়ে চাদর ব্যবহার না করার জোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।