বেনজীরের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের ‘রেড নোটিশ’ জারি

ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের সময়কার দোর্দণ্ড প্রতাপশালী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ও র্যাব প্রধান বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে রেড নোটিশ জারি করেছে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল।
গত ১০ এপ্রিল এই রেড নোটিশ জারি করা হয়। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ৮ উপদেষ্টার দুর্নীতির কথিত অভিযোগ দেয়ার পর সাত্তারের ফোন বন্ধ, বিএনপির অস্বীকার
জানা গেছে, ৫ আগস্ট গণআন্দোলনের মুখে দেশ থেকে ভারত পালানো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়টি আইনি পর্যালোচনায় রেখেছে ইন্টারপোল। তাদের বিরুদ্ধেও রেড নোটিশ জারি হতে পারে।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশনায় প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) অথবা তদন্ত সংস্থার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) শাখা ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির আবেদন করে থাকে। বেনজিরসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে এই আবেদন করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা জিজ্ঞাসাবাদে সুমাইয়া জাফরিনের দায় স্বীকার করে ভয়ংকর তথ্য
এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার একটি আদালত সাবেক আইজিপি বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেয়। এরপর গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করতে ইন্টারপোলের কাছে আবেদন করা হয়। আর্থিক দুর্নীতি বা অপরাধের অভিযোগের কারণে দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে গত ১০ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ১০ এপ্রিল ইন্টারপোল বেনজীরের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে। দেশের ইতিহাসে প্রথম কোনো আইজিপির বিরুদ্ধে এই নোটিশ জারি হলো।
এদিকে, রেড নোটিশ জারি হলেও এখনও ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বেনজীর আহমেদের ছবি ও তথ্য মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় আসেনি। এ জন্য আরও কিছু কার্যক্রম বাকি রয়েছে, সেগুলো শেষ হওয়ার পর রেড নোটিশ ওয়েবসাইটেও দেখা যাবে বলে জানায় পুলিশ।
বেনজীর সপরিবারে পলাতক। তার বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ আরও ১১ জনের বিষয়টি বর্তমানে ইন্টারপোলের আইনি পর্যালোচনার আওতায় রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধেও যেকোনো সময় রেড নোটিশ জারি হতে পারে।