মহাখালী জাকারিয়া হোটেল বারে মদ খেয়ে ভাংচুর

যুবদল নেতা মনির হোসেন বহিস্কার

Sadek Ali
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ন, ০৩ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:২০ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের নীতি, আদর্শ ও সংহতি পরিপন্থী নানা অনাচারের কারণে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আওতাধীন বনানী থানার আহ্বায়ক মনির হোসেনকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরো বলা হয়, জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন। বহিষ্কৃত নেতৃবৃন্দের কোন ধরনের অপকর্মের দায়-দায়িত্ব দল নিবেনা। যুবদলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তাদের সাথে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশনা প্রদান এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উক্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

জানা গেছে, গত ৩০ জুন  রাত অনুমানিক আটটার দিকে বনানী থানা যুবদলের আহবায়ক মনির খান মহাখালী ওয়ারলেসগেট, জাকারিয়া হোটেলের - রেষ্টুরেন্ট এন্ড বারে এসে একটি ভিআইপি রুম ভাড়া নিতে চান। এসময় সকল ভিআইপি কক্ষে অতিথি থাকায় মনির খান’কে রুম দেয়া সম্ভব হয়নি।  

আরও পড়ুন: সিএমপির সাংবাদিক নির্যাতন: ঘুসি আকবরের পর ডিসি আমিরুল


পরবর্তীতে মনির, জাকারিয়া হোটেলের বারে বসে খাবার ও মদ্যপান করেন এবং খাবারের শেষে স্থানীয় নেতা পরিচয় দিয়ে বিলে ডিসকাউন্ট দাবি করেন, হোটেল কর্তৃপক্ষ তাকে ডিসকাউন্ট দিয়ে বিল দেয়। বিল পরিশোধের পর, তাকে ভিআইপি রুম না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে জাকারিয়া হোটেল এবং বারের স্টাফদের দেখে নেয়ার হুমকি ধামকি দিয়ে চলে যায়।  

আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে কারাগার ঘোষণা

এই ঘটনার ধারাবাহিকতায়, গত ১ জুলাই রাত সাড়ে আটটার দিকে জনৈক লিটন চৌধুরী নাহিদ যিনি মনির খানের ঘনিষ্ঠ বলে জানা যায়, তিনি জাকারিয়া হোটেল এবং বারে আগমন করেন, এবং পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক, ১টি গ্লাস হাতে নিয়ে ফ্লোরে ছুরে ভেঙ্গে ফেলেন এবং এবং বারের স্টাফদের বলে যে, “মনির ভাই তোদের হোটেলে আসছিল, তোরা মনির ভাইকে ভিআইপি কেবিন না দিয়ে অসম্মান করেছিস, আমরা মনির ভাইয়ের লোক, তোরা মনির ভাইকে চিনে রাখবি”, এই বলে পুরো বার ও রেস্টুরেন্টটিতে ভাংচুর করে কর্মচারীদের এলোপাথারীভাবে মারপিট করে তাদের হাতে, পায়ে, বুকে, পিঠে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। 

পরবর্তীতে জাকারিয়া হোটেল এবং বারের স্টাফদের এই মর্মে হুমকি দেয়া হয় যে, যদি এই বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়, তাহলে তারা তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দেবে এবং স্টাফদের আরো মারধর করবে।