মানিলন্ডারিং মামলায় ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’-এর কর্ণধার খায়রুল বাশার বাহার গ্রেফতার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ন, ১৪ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ১২:৪২ অপরাহ্ন, ১৪ জুলাই ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারণা চক্রের মূলহোতা খায়রুল বাশার বাহারকে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (১৪ জুলাই ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের একটি টিম। অভিযানে নেতৃত্ব দেন ইউনিটের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

আরও পড়ুন: চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসা সহায়তা দিলেন তারেক রহমান

সিআইডি জানায়, খায়রুল বাশার তার স্ত্রী খন্দকার সেলিমা রওশন ও ছেলে আরশ ইবনে বাশারকে সঙ্গে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে প্রতারণা করে আসছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিদেশে উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করার নামে শত শত শিক্ষার্থীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়।

প্রতারণার কৌশলের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি চটকদার বিজ্ঞাপন, ভুয়া ভিসা প্রসেসিং এবং বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মিথ্যা প্রতিনিধিত্ব দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করত। অনেক শিক্ষার্থীর নামেই বিদেশি প্রতিষ্ঠানে কোনো আবেদনই করা হয়নি। আবার কেউ কেউ বিদেশে গিয়ে পড়েছেন মারাত্মক প্রতারণার ফাঁদে।

আরও পড়ুন: বিমানবন্দরে যাত্রীর সঙ্গে প্রবেশে সীমা, গাড়ি থামার সময় নির্ধারণ করল বেবিচক

সিআইডির প্রাথমিক তদন্তে এ পর্যন্ত ৪৪৮ জন ভুক্তভোগীর তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভুক্তভোগীর প্রকৃত সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অনেকেই প্রতারণা, জালিয়াতি এবং এনআই অ্যাক্টে মামলা করেছেন।

তদন্তে আরও জানা গেছে, অভিযুক্তরা গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত অর্থ নিজেদের এবং অন্যদের নামে পরিচালিত বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে উত্তোলন করে তা দিয়ে স্থাবর সম্পদ ক্রয়, ব্যবসা পরিচালনা এবং অবৈধভাবে অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তর করেন।

এ ঘটনায় গুলশান থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪(২)/৪(৪) ধারায় মামলা (নং-০৫, তারিখ: ০৪/০৫/২০২৫) রুজু করেছে সিআইডি। মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে জানা গেছে।