আগামী নির্বাচনে ‘না ভোট’ থাকছে: নির্বাচন কমিশনার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ন, ১১ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, ১২ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে না। পাশাপাশি দীর্ঘদিন পর ফিরে আসছে ‘না’ ভোটের বিধান।

সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের মুলতবি সভা শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মোহাম্মদ সানাউল্লাহ।

আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী

তিনি জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) ২০২৫-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। নতুন এই খসড়ায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনা হয়েছে।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম আর ব্যবহৃত হবে না। পুরো দেশেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন: আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে বিদেশ যেতে দেয়া হয়নি

নির্বাচনী ব্যবস্থায় নতুন করে যুক্ত করা হচ্ছে ‘না’ ভোটের বিধান। কোনো আসনে যদি একমাত্র প্রার্থী থাকেন, তাহলে তাকেও ‘না’ ভোটের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে। যদি 'না' ভোট বেশি হয়, তাহলে সে আসনে পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগে কোনো আসনে দুই প্রার্থীর সমান ভোট হলে বিজয়ী নির্ধারণে লটারি করা হতো। নতুন বিধানে লটারি পদ্ধতি বাতিল করে পুনর্নির্বাচনের বিধান রাখা হয়েছে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্য মিথ্যা প্রমাণিত হলে, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের পাঁচ বছরের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে পারবে। প্রয়োজনে সদস্যপদ বাতিলও করা যাবে।

একইসঙ্গে, প্রার্থীরা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান নিতে পারবেন, তবে তা ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে।

জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করলেও প্রতিটি প্রার্থীকে নিজ নিজ দলের প্রতীকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

নতুন নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা ৮৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২২টি দলকে প্রাথমিকভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। তাদের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে।

এছাড়া, দেশের ৮৩টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে আপত্তি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এসব আপত্তি যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নতুন আরপিও ২০২৫ খুব শিগগিরই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে।