প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস: সমুদ্রই হবে দেশের বিশ্বমুখী মহাসড়ক

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:০১ অপরাহ্ন, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ন, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, বাংলাদেশকে একটি “ব্লু ইকনোমি” ভিত্তিক অর্থনীতির দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য পরিকল্পিত উদ্যোগ নেওয়া দরকার। তিনি বলেন, মহেশখালী অঞ্চলের এলাকা শুধু একটি সুবিধাজনক জোন হিসেবে থাকবে না, বরং সেখানে একটি নতুন শহর গড়ে উঠবে, যা আন্তর্জাতিক সংযোগের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নবগঠিত মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (মিডা) এর সদস্যবৃন্দ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, “আমরা সমুদ্র জগতে এখনও প্রবেশ করিনি। এর ওপর গবেষণা, তথ্য ও অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। আমাদের নিজস্ব গবেষণা চালাতে হবে এবং আন্তর্জাতিক গবেষণাপত্রের সঙ্গে মিলিয়ে ফলাফল বিশ্লেষণ করতে হবে।”

আরও পড়ুন: এই ঘৃণ্য কাজে জড়িতদের বিচারে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা: প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়

ড. ইউনূস মহেশখালী অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার গুরুত্বেও জোর দেন। তিনি বলেন, “বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি পরিবেশ সংরক্ষণ, বনভূমির বর্তমান অবস্থা এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গুরুত্বসহকারে করতে হবে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুণ, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক, মো. সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।

আরও পড়ুন: আমরা কি জুলাই আন্দোলনে ললিপপ খাচ্ছিলাম: রিজভী

বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন এবং মিডার আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। আশিক চৌধুরী জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে সম্পন্ন হবে—প্রথম ধাপ ২০২৫ থেকে ২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ ২০৩০ থেকে ২০৪৫, এবং তৃতীয় ধাপ ২০৪৫ থেকে ২০৫৫ পর্যন্ত। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ মানুষের জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দেশের জিডিপিতে ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখবে।