চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর: সরকারি পিতৃত্বকালীন ছুটি চালুর প্রস্তাব

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:১৮ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বাংলাদেশে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির পাশাপাশি পিতৃত্বকালীন ছুটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এই সংক্রান্ত বিধিমালার সংশোধনের প্রস্তাব প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, নবজাতকের জন্মের পর শুধু মায়ের নয়, বাবারও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সাধারণত সন্তান জন্মের পর প্রায় ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে কর্মজীবী বাবারা অসুস্থ স্ত্রী ও নবজাতককে হাসপাতালে রেখে অফিসে যোগ দিতে হয়। বিশেষ করে সিজারের মাধ্যমে জন্ম হলে মায়ের শারীরিক অবস্থা বেশ নাজুক থাকে। এই বাস্তবতা বিবেচনা করে দীর্ঘদিন ধরে পিতৃত্বকালীন ছুটির দাবি করা হচ্ছিল।

আরও পড়ুন: এটিইউ প্রধানের সঙ্গে এফবিআই কর্মকর্তাদের মতবিনিময়

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বিশ্বের ৭৮ দেশে পিতৃত্বকালীন ছুটির প্রচলন রয়েছে। ভারতে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে সবেতনে ১০ দিন পিতৃত্বকালীন ছুটি ভোগ করেন। তারা চাকরিজীবনে এই ছুটি দুবার পেয়ে থাকেন। পাকিস্তানে পিতৃত্বকালীন ছুটি সবেতনে এক মাস। তারা চাকরিজীবনে তিনবার এ ছুটি ভোগ করেন। ভুটান ও শ্রীলংকায় এ ছুটি ১০ দিন করে দেওয়া হয়। পোল্যান্ডে মাতৃত্বকালীন ছুটি এক বছর ও পিতৃত্বকালীন ছুটি ৯০ দিন। আবার সিঙ্গাপুর অ-ইউরোপীয় দেশ হিসাবে সবচেয়ে বেশি ছুটি দিয়ে থাকে। স্পেনে শতভাগ বেতনসমেত ১২ সপ্তাহের পিতৃত্বকালীন ছুটি দেওয়া হয়। দেশে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আড়ং, ব্র্যাক ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় পিতৃত্বকালীন ছুটি দিয়ে থাকে।

সারসংক্ষেপে প্রস্তাব করা হয়েছে যে, সরকারি চাকরিজীবীরা নবজাতকের জন্মের পর একটানা ১৫ দিন সবেতন পিতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এতে মা-বাবার মধ্যে মানসিক বন্ধন দৃঢ় হবে এবং মা-ও মানসিক স্বস্তি পাবেন। পিতারা ছুটি শেষে কাজে আরও মনোযোগীভাবে যোগ দিতে সক্ষম হবেন।

আরও পড়ুন: সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

বর্তমানে বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (পার্ট-১)-এর ১৯৭ নম্বর বিধিমালায় শুধু মাতৃত্বকালীন ছুটির বিধান রয়েছে। প্রস্তাবিত সংশোধনের মাধ্যমে পিতৃত্বকালীন ছুটি অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে।