শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানকে ফেরত চেয়ে ভারতের কাছে চিঠি
বাংলাদেশ সরকার ভারতের কাছে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফেরত চেয়েছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন রোববার (২৩ নভেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপদেষ্টা জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পর শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দিল্লিকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লাভেলো আইসক্রিমের এমডি-চেয়ারম্যানসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ১৭ নভেম্বর ঘোষিত রায়ে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রাজসাক্ষী হিসেবে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, আসামিদের বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ‘সুপিরিয়র কমান্ড রেসপনসিবিলিটি’ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১৪ জুলাই আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতি নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুন: যারা ধর্ম ও মুক্তিযুদ্ধকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে তাদের কাছে দেশ নিরাপদ নয় : সালাম আজাদ
এর পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্ররোচনা, সহায়তা ও সম্পৃক্ততায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সশস্ত্র ‘আওয়ামী সন্ত্রাসী’ আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণ চালায়।
দ্বিতীয় অভিযোগে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের হত্যা নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। চতুর্থ ও পঞ্চম অভিযোগে রাজধানীর চাঁনখারপুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়াতে জীবিত একজনসহ ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকেও ঢাকার চাঁনখারপুলে ছয়জন হত্যা এবং আশুলিয়াতে ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের একমাত্র গ্রেপ্তার আসামি ও রাজসাক্ষী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি অপরাধের ব্যাপকতা স্বীকার করে সহযোগিতা করেছেন, তাই ন্যূনতম সাজা পেয়েছেন।





