‘সংখ্যানুপাতিক ভোট ব্যবস্থা’ হবে কি হবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ: সালাহ উদ্দিন

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৩১ অপরাহ্ন, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

‘সংখ্যানুপাতিক ভোট ব্যবস্থা’ হবে কি হবে না তা নির্ধারণ করবে জনগণ’ বলে মন্তব্য করেছেন সালাহ উদ্দিন আহমদ।

শনিবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।

আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরে গেলেন নুরুল হক নুর

তিনি বলেন, আলোচনার টেবিল এবং আন্দোলন দুইটা যদি একই ইস্যুতে হয় তাহলে এটা স্ববিরোধিতা। কেউ বলছেন পিআর চাই… ঠিক আছে পিআর যদি চাইতেই হয় সেটা তো ডিসাইড করবে জনগণ। আমরা কে কয়টা রাস্তায় মিছিল করলাম, বিভাগীয় পর্যায়ে কে কয়টা সভা করলাম, হাজার দুই-তিনেক লোক নিয়ে মিছিল করলাম তাতে কি পিআর প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেল?

আপনারা নির্বাচনী ইশতেহারে আপনাদের দাবিগুলো উল্লেখ করে নির্বাচনে আসুন। জনগণ যদি আপনাদের পক্ষে রায় দেই, ইশতেহারের পক্ষে রায় দেই, আপনারা সেটা বাস্তবায়ন করবেন। এটাই তো গণতান্ত্রিক রীতি।

আরও পড়ুন: নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি আজ

‘সংকট সৃষ্টি না করার’ আহ্বান রেখে সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘ আমি সকল রাজনৈতিক দল এবং দেশবাসীকে আহ্বান জানাব, আসুন আমরা আর কোন সংকটের সৃষ্টি না করি, আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকি। আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী যে জাতীয় ঐক্য গঠিত হয়েছে সেটাকে আমরা সমুন্নত রাখি এবং এটাকে শক্তিতে পরিণত করে ইনশাআল্লাহ আমরা গণতান্ত্রিক চর্চাকে অব্যাহত রাখতে পারবো এবং গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকে নির্মাণ করতে পারব।”

তাহলেই আমরা সফলকাম হব একটা শক্তিশালী অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি সম্পর্ক সম্পন্ন এটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রবি নির্মাণের এবং আমাদের সকল শহীদের স্বপ্ন পূরণে।

কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘অর্পণ আলোক সংঘ’ এর উদ্যোগে তারুণ্যের রাষ্ট্র চিন্তার তৃতীয় সংলাপ ‘মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

এনসিপি প্রসঙ্গে

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরকার বিরোধী মনোভাবটা সবসময় জনগণের মধ্যে থাকে যেকোনো ব্যর্থতার জন্য প্রথমেই সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে… এজন্য সরকার দায়ী, দায়ী কি দায়ী না সেটা পরে বিবেচ্য কিন্তু প্রথমে বলে সরকার দায়ী যেহেতু দায়িত্বে সরকার।

এই সরকারের দায়িত্বে আসাটা আমার মনে হয় সেটা তাদের( এনসিপি) সঠিক বিবেচনার সিদ্ধান্ত হয়নি।

তাহলে আজকে প্রেসার গ্রুপ হিসেবে জাতিকে নির্দেশক হিসেবে একটা ভূমিকা তাদের থাকতে পারতো… যেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এখনও তারা ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে যারা সরকারে বসে আছে… প্রতিদিনই তাদেরকে লায়াবিলিটি কাঁধে নিতে হচ্ছে, হবে। যাই হোক ওদেরকে আমি সরে আসার জন্য আহ্বান নিজেরা জানালে তো হবে না। তাগিদটা নিজেদেরকে নিতে হবে।”

জামায়াতে ইসলামী: এতো আত্মবিশ্বাসী হলে নির্বাচনে আসুন

 সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘ কালকে কয়েকটা সমাবেশ হয়েছে বিভিন্ন বিভাগ পর্যায়ে। একটা পত্রিকায় আজকে হেডলাইন দেখলাম… কোথাও বলছে, বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী সরকার গঠন করবে, বিএনপি বিরোধী দলে যাবে। তো ভাইসর আপনারা কি নির্ধারণ করে দিয়েছেন বিএনপি বিরোধী দলে যাবে নাকি জনগণ করবে। কিন্তু আমার জবাবটা এখানে সেরকম না”

 ‘‘আমার জবাব হলো, আপনারা যখন এত বেশি কনফিডেন্ট হলেন, আত্মবিশ্বাসী হলেন যে সরকারি দল হবেন তাহলে নির্বাচনে আসেন না কেন? আজকে এই বাহানা, কালকে এই বাহানা, পরশু এই বাহানা দিয়ে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন কেন? উদ্দেশ্য কি  সেটা তো আমরা জানি… আরও একটু কিছুদিন পরে বলব।”

প্রশ্ন রেখে তিনি বণেন, কাদেরকে নিয়ে আপনারা আন্দোলন করছেন এখন যুগপৎ সঙ্গী হিসেবে  সেটা জনগণ দেখছে। তাদের মধ্যে একটি দল আছে… আমি নাম নিলে তো আবার অসুবিধা… ২০২৪ সালে ৭ জানুয়ারি ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল…. সাতটা দলের মধ্যে আপনারা নাম খুঁজে নিবেন।

 ‘‘তারা যদি যুগপৎ এর সঙ্গী হলে নিষ্পাপ হয় তাহলে বাকি যারা ২৮ টা দল ‘আমি-ডামি’ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গী হয়েছিল তারা কি মহাপাপী? মানে আপনাদের সাথে সঙ্গী হলে যুগপৎ এ তাদের কোন পাপ নাই… এই নীতি সঠিক নয়।”আর যারা ২০২৪ সালের নির্বাচনে  অংশগ্রহণ করার সুযোগ হয় নাই কিন্তু তার আগের সব নির্বাচনে যারা  ‘হাত পাকা’ দিয়ে বাতাস করেছে তারাও সঙ্গী …তাদের সম্পর্কে আমি বললাম বলে আমার উপরে মহান আক্রমণ।”

আলোচনার টেবিলেই নিষ্পত্তি চাই

সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘ একেক একেক রকমের দাবি নিয়ে আন্দোলনে যেতে পারেন সবার গণতান্ত্রিক অধিকার আছে।  আমরা বলছিলাম যে বিষয়গুলো এখনো আলোচনার টেবিলে নিষ্পত্তি হওয়ার অপেক্ষায়… সেজন্য অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করার জন্য কি আপনারা রাস্তায় গেলেন? সেই চাপকে আবার বাতাস শূন্য করার জন্য আমাদেরকেও তো যেতে হবে হবে রাস্তায় আন্দোলনে সেটা কি আমরা এখন চাই? আমরা আলোচনার টেবিলে নিষ্পত্তি চাই।

কারণ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতিতে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আমরা চর্চার মধ্য দিয়ে আছি রাজনৈতিক সংস্কৃতির সেই চর্চা করতে করতে আমরা এইটাকেই ধারণ করবো, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো জাতীয় ইস্যুতে, দেশের স্বার্থে ইস্যুতে, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রের ইস্যুতে, যেকোনো জাতীয় আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকবো। কিন্তু গণতান্ত্রিক চর্চায় আমাদের মধ্যে বাহাস হবে, মতভিন্নতা হবে, বহুমত পোষণ করব কিন্তু সেটার নিষ্পত্তি হবে আলোচনার টেবিলে।”

 এক দেশে দুই সংবিধান থাকতে পারে কি

 সালাহ উদ্দিন বলেন, ‘‘ যদি কনস্টিটিউশনাল অর্ডার করেই এই জুলাই সনদের বাস্তবায়ন করতে হয় এখন থেকেই সেটার কার্যকর করতে হয় তাহলে তো