২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পতাকা হাতে ঢাকায় ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:৩৬ অপরাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৬:৫৮ অপরাহ্ন, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের পতাকা হাতে নিয়ে ঢাকার মাটিতে নামবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বিএনপি আয়োজিত বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন তারেক রহমান। সভার শুরুতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের জন্য বাসভবন এবং অফিস প্রস্তুত করেছে বিএনপি

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ২০০২ সালে চীন সফরের সময় খালেদা জিয়া সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে তারেক রহমানের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, ‘হি ইজ মাই সান’। তখন চীনের প্রধানমন্ত্রী তারেক রহমানের দুই হাত ধরে বলেছিলেন, ‘ক্যারি দ্য ফ্ল্যাগ অব ইউর ফাদার অ্যান্ড মাদার’। সেই জাতীয়তাবাদী পতাকা, স্বাধীনতার পতাকা ও গণতন্ত্রের পতাকা নিয়েই তারেক রহমান আগামী ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন আমরা সবাই জেগে উঠবো। গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

আরও পড়ুন: কেবল জামায়াতে ইসলামীই অর্থপূর্ণ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী: অধ্যাপক জেহাদ খান

জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের পর নতুন সরকার গঠিত হলে অনেকের মধ্যে শঙ্কা কাজ করছে। তিনি বলেন, জনগণের ভোটে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে এবং তাদের কোনো ধরনের অনিরাপত্তার ঝুঁকিতে যেতে দেওয়া হবে না।

একাত্তরের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, যারা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তারাই আজ নতুন করে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, আসন্ন নির্বাচনের মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হবে দেশ উদার গণতান্ত্রিক পথে এগোবে, নাকি পশ্চাৎপদতার দিকে যাবে।

শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে সারাদেশে বিক্ষোভ হয়েছে। তিনি দাবি করেন, হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত একজন সন্ত্রাসী।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। এতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, যুবদলের সভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসানসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।