অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয় করলেন মেসি

শেষ পর্যন্ত আর্লিং হালান্ডকে পেছনে অষ্টমবারের মতো ব্যালন ডি’অর জয় করে ফেললেন লিওনেল মেসি। এর আগেও সাতবার ব্যালন ডি’অর জয় করেন আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
এবার ব্যালন ডি’অর জয়ের ক্ষেত্রে সত্যিকার অর্থে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বলতে গেলে শুধু আর্লিং হালান্ড। গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটির ট্রেবল জয়ে বড় অবদান ছিল হালান্ডের। লিগে ৩৭ ম্যাচে জালের দেখা পান ৩৬ বার। ভেঙে দেন ৩৮ ম্যাচের লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে ১১ ম্যাচে গোল করেন ১২টি। তাকে ছাপিয়ে আরেকবার ব্যালন ডি অর হাতে তুললেন মেসি। ২০২২ বিশ্বকাপ জয়ের পর ৮ম ব্যালন ডি’অর জয় অনেকাংশেই নিশ্চিত করে ফেলছিলেন এই ফুটবল জাদুকর।
আরও পড়ুন: স্বপ্ন পূরণের পথে দাবাড়ু মুনতাহা, পাশে দাঁড়ালেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক
মেসির অষ্টম ব্যালন ডি’অর জয়ে ফিকে হয়ে গেলো নরওয়ের স্ট্রাইকার আর্লিং হালান্ডের স্বপ্নের মতো কাটানো মৌসুমটি। ট্রেবল জয়ের পাশাপাশি ইউরোপের গোল্ডেন বুটও ছিল তার ঝুলিতে। ২৩ বছর বয়সি এই গোল মেশিন গত মৌসুমে সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ৫৩ গোল করেছেন। কিন্তু এক বিশ্বকাপের কাছে যে সবকিছুই অর্থহীন।
ব্যালন ডি’অর যে সময়ের বিবেচনায় দেওয়া হয় সেই সময়টায় মেসি জিতেছেন বিশ্বকাপ ট্রফি, জিতেছেন বিশ্বকাপ গোল্ডেন বল। এ ছাড়া ফিফার বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলারও হয়েছেন তিনি। তাছাড়া ফ্রেঞ্চ লিগ, ট্রফি দিস চ্যাম্পিয়নস, লরিস স্পোর্টসম্যান অফ দ্য ইয়ারও হয়েছেন মেসি। ভেঙেছেন অসংখ্য রেকর্ডও। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতাও মেসি।
আরও পড়ুন: আইএল টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার দল পেলেন মোস্তাফিজ
বার্সায় ফিরতে না পারলেও মেসি যে ইন্টার মায়ামিতে দারুণ খুশি তা তার খেলাতেই স্পষ্ট। এমএলএস ক্লাবটিকে এনে দিয়েছেন তার ইতিহাসের প্রথম শিরোপা।
তাই যোগ্যতার ভিত্তিতেই ব্যালন ডি’অর জয় কেবল মেসিরই প্রাপ্য।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৯, ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ সালে ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন এই আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর।
ব্যালন ডি অরের লড়াইয়ে লিওনেল মেসির কাছে হারলেও প্যারিসের ঝলমলে মঞ্চ থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়নি নরওয়ে ও ম্যানচেস্টার সিটি তারকা আরলিং হালান্ডকে। ক্লাবের হয়ে গেল মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম করে সর্বোচ্চ গোলের পুরস্কার ‘গার্ড মুলার ট্রফি’ জিতে নিয়েছেন তিনি।