মধ্যনগর উপজেলায় ৬০টি গ্রাম বিদ্যালয়হীন, শিক্ষা থেকে বঞ্চিত শিশুরা
মধ্যনগর উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ১৪৪টি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামের ৮৪টিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও ৬০টি গ্রাম বিদ্যালয়হীন। গ্রামে শিক্ষার সুযোগবঞ্চিত ও ঝরে পড়া কোমলমতি শিশুর সংখ্যা দুই সহস্ররাধিক।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৫৩৫। এর মধ্যে ঝরে পড়া শিশুর হার ৮.০৫ শতাংশ।
আরও পড়ুন: ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর গ্র্যান্ড ফাইনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এস. এন. তরুণ দে
জানা যায়, উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নে ১৮ টি, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ১৪টি, মধ্যনগর ইউনিয়নে ১২টি ও চামরদানী ইউনিয়নে ১৬টি গ্রামে নেই কোনো বিদ্যালয়।
এদিকে ৬০ গ্রামে স্কুল না থাকায় ঝরে পড়া শিশুর সংখ্যা বেড়ে গেছে। লেখাপড়ার সুযোগ না থাকায় তারা ক্ষেত-খামারে, স্থানীয় হাট-বাজারের হোটেল-রেস্তরাঁয় এমনকি হাওরে মাছ ধরার কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করতে হবে: ইয়াসের খান চৌধুরী
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ে ৩৫৯ জন সহকারী শিক্ষক ও ৫৪ জন প্রধান শিক্ষক রয়েছেন। শূন্য রয়েছে প্রধান শিক্ষকের ৩০টি ও সহকারী শিক্ষকের ২৭ টি পদ।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, দুই হাজার জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করার বিধান রয়েছে। এখানে প্রতিটি গ্রাম ছোট ও বিচ্ছিন্ন এবং জনসংখ্যা কম থাকায় বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য প্রতিবেদন পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিদ্যালয়বিহীন ৮ গ্রামে স্কুলের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে ইতোপূর্বে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। করোনা মহামারির পর থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। তবে সব শিক্ষকের প্রতি ঝরে পড়া রোধ করতে, সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া আছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাল মোহন দাস বললেন, এই মুহুর্তে নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের সুযোগ নেই, তবে পরবর্তীতে সরকার বিদ্যালয়বিহীন গ্রামে নতুন বিদ্যালয় স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করলে, দুর্গম হাওরাঞ্চল বিবেচনায় মধ্যনগর উপজেলা অগ্রাধিকার পাবে।





