সিংগাইরে চাঞ্চল্যকর রাহুল হত্যা
ছদ্মবেশ ধারণ করেও পুলিশের জালে ধরা মূল হোতা

নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করেও ফল হয়নি। অবশেষে মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার মেদুলিয়া গ্রামের চাঞ্চল্যকর রাহুল খান হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা রাজিব ওরফে রাজু (১৯) পুলিশের জালে ধরা পড়েছে।
শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) ভোর রাতে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে পটুয়াখালী সদর থানার নতুন বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে সিংগাইর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) জে.ও.এম. তৌফিক আজম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: চাঁদাবাজি নয়, নেপথ্যে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ কাহিনী
এর আগে সোমবার (১৯মে) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর কোলপাড় হানিফের ডাঙার পাশে মেদুলিয়া গ্রামের নজরুল ইসলাম খানের ছেলে রাহুল খানকে (১৭) রাজুসহ তার ১২—১৮ জন সহযোগী মিলে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের দু'দিন পর নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখসহ ৫—৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর ঘটনার মূল হোতা রাজীব ওরফে রাজু পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিতে ন্যাড়া হয়ে ছদ্মবেশ ধারণ করে এলাকা থেকে সটকে পড়ে। তাকে গ্রেফতারের পর হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে বলে জানান পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে এই মুহূর্তে মুখ খুলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেফতারকৃত রাজুর বাড়ি উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল গ্রামে। বাবা — মায়ের সাথে ডিভোর্স হওয়ায় নানা মোসলেম উদ্দিনের বাড়ি খাসেরচর গ্রামে থাকতো সে। সেখানে অন্য সহযোগীরা মিলে কিশোর গ্যাং বাহিনী গড়ে তুলে। তাদের বাহিনীর সর্বশেষ মিশন পরিকল্পিতভাবে রাহুলকে হত্যা করে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে দেড় ঘণ্টা সড়ক অবরোধ
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার এস আই রেজাউল করিম জানান, ঘটনার মূল নায়ক রাজুসহ মামলার এজাহারভুক্ত ৪ জন ও হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আরো তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।