স্ত্রীর লাশ ১১ টুকরা করা সেই স্বামী গ্রেপ্তার

Sadek Ali
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:১২ অপরাহ্ন, ১২ জুলাই ২০২৫ | আপডেট: ৭:১১ অপরাহ্ন, ০৯ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ থানার রৌফাবাদে স্ত্রীকে হত্যার পর মরদেহ ১১ টুকরো করে গুম করার অভিযোগে স্বামী মো. সুমনকে (৩৫) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। 

শুক্রবার (১১ জুলাই) রাতে র‍্যাব-৭ ও র‍্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শনিবার (১২ জুলাই) সকালে র‍্যাব-৭ এর পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: ফরিদপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নাছির গ্রেপ্তার

র‍্যাব-৭ জানায়, বুধবার (৯ জুলাই) রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটির একটি ফ্ল্যাটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন স্থানে ফেলে রেখে যায় স্বামী। পরবর্তীতে সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান ফ্ল্যাট বাসা থেকে দুর্গন্ধ, অস্বাভাবিক নড়াচড়া এবং পানির ফ্ল্যাশের শব্দ শুনে ১০ম তলায় ঘাতক সুমনের ভাড়াকৃত ফ্ল্যাটে গিয়ে ডাকাডাকি করলে প্রায় ৩০ মিনিট পর সুমন বাসার দরজা খোলে। মশিউর রহমান এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সুমন এলোমেলো কথাবার্তা বলে ও তাকে বাসায় প্রবেশ করতে বাধা দেয়। 

সিকিউরিটি গার্ড মশিউর রহমান জোরপূর্বক সুমনের বাসায় ঢুকে রুমের বিভিন্ন স্থানে রক্তের দাগ, বাথরুমের ভিতরে রক্তমাখা কাপড় এবং কমোডে মাংস দেখতে পেয়ে বাসা বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। এসময় আসামি সুমন বাসার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যায়। সিকিউরিটি গার্ড মশিউর এবং স্থানীয় লোকজন বায়েজিদ থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ফাতেমা বেগমের (৩২) ক্ষত-বিক্ষত শরীরের অংশবিশেষ এবং রুমের খাটের নিচ হতে পায়ের অংশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ফাতেমার বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন রুবেল বাদী হয়ে বায়েজিদ বোস্তামী থানায় মামলা করেন।  

আরও পড়ুন: কমলগঞ্জে চা বাগানের সেকশন থেকে চা শ্রমিকের লাশ উদ্ধার

র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক এ আর এম মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামী মো. সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ১০ বছর পূর্বে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর সুমন কর্মসংস্থানের জন্য সৌদি আরবে অবস্থান করে ভিসা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরে এসে চট্টগ্রাম মহানগরে একটি পিকআপ চালক হিসেবে কাজ করেন।  

তিনি আরও জানান, দেশে ফিরে আসার পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায় সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। এ নিয়ে একাধিকবার উভয় পরিবারের মধ্যে আপোষ মিমাংসা করা হয়। গত বুধবার (৯ জুলাই) রাতে অচেনা ৬ থেকে ৭ জন যুবক তার বাসায় আসাকে কেন্দ্র করে আবারও বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে সুমন বাসায় থাকা দুটি ধারালো চাকু দিয়ে স্ত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে হত্যা করেন। পরবর্তীতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে ১১ টুকরো করে গুম করার চেষ্টা করেন।