এভসেক ও এয়ারপোর্ট এপিবিএন থাকার পরেও এয়ার গার্ড গঠনে তোড়জোড়
বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে কি হচ্ছে

দেশের প্রধান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে সরকারের তুঘলকি কর্মকাণ্ডে চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তহীনতা, সমন্বয়হীনতা, দুর্নীতি, চোরাচালান ও যাত্রী হয়রানির সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েছে বিমানবন্দরগুলো। সিভিল এভিয়েশনের বিশেষায়িত নিরাপত্তা বাহিনী ও বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় বিশেষ প্রশিক্ষিত এয়ারপোর্ট এপিবিএন থাকার পরও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও একটি নতুন বাহিনী—এয়ার গার্ড—গঠনের সিদ্ধান্তে তোলপাড় তৈরি হয়েছে।
‘এয়ার গার্ড অব বাংলাদেশ’ (এজিবি) নামে বিশেষ বাহিনী গঠনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ৩১ আগস্ট অতি গোপনীয়ভাবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে গঠন করেছে বিশেষ কমিটি। এতে বেবিচকের কোনো সদস্যকে রাখা হয়নি। নতুন বাহিনী গঠনের উদ্যোগে সিভিল এভিয়েশনের স্থায়ী কর্মচারিরা ক্ষুদ্ধ। বেবিচকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংস্থাটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, একটি প্রভাবশালী মহল বিশৃঙ্খলা ও দুর্নীতির সুযোগের জন্য একটি বাহিনীকে সামনে এনে কাজ করতে চাচ্ছে।
আরও পড়ুন: টয়লেট পরিচালনা প্রশিক্ষণে বিদেশ যাচ্ছেন ৩ কর্মকর্তা
এদিকে, বেবিচকের সদস্য নিরাপত্তা এককভাবে বিমানবন্দরে মোতায়ন অ্যার্মড ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক সিহাব কায়সারকে বিমানবন্দর থেকে প্রত্যাহার করতে পুলিশ মহাপরিদর্শকের কাছে চিঠি পাঠানোকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ হয়েছে পুলিশ বিভাগ। পুলিশ এটিকে নেতিবাচক হিসেবে দেখে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের সব বিমানবন্দরেই বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিমান, এয়ারপোর্ট ও যাত্রী-দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) কর্মকর্তাদের দুর্নীতি, অদক্ষতা, যাত্রী হয়রানি নিয়ে বিমানবন্দরে নানা অপরাধ সংঘটনের বদনাম রয়েছে দীর্ঘদিনের। সম্প্রতি মন্ত্রণালয় প্রস্তাবে ১০,৬৩২ সদস্যের ৭০ ভাগ বিমান বাহিনী থেকে; বাকি ৩০ ভাগ বেসামরিক লোকবল নিয়ে এয়ারপোর্টেও একটি নিরাপত্তা বাহিনী গঠনের উদ্যোগ ছিল। খরচ ধরা হয়েছিল ৩৯৭ কোটি ২ লাখ টাকা। এরপরই এ বাহিনী গঠনের বিষয়ে বেবিচকে অসন্তোষ দেখা দেয় এবং গঠন করা হয়নি।
গত ৩১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-১ শাখা অফিস আদেশে মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মুহাম্মদ আবদুল্যাহ আল জাবেদ এজিবি বাহিনী গঠনে ১২ সদস্যের কমিটির প্রধান করা হয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন ও অর্থ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আতাউর রহমান খানকে। কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশি-বিদেশি অন্তত ৩৭টি বিমান সংস্থা তাদের ফ্লাইট পরিচালনা করছে। ৪৭টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমান চলাচল চুক্তি রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০,০০০ যাত্রী আসা-যাওয়া করছে শাহজালাল, শাহআমানত, ওসমানী প্রভৃতি বিমানবন্দরে।
আরও পড়ুন: ৩৯ পরিদর্শককে সহকারী পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা জোরালো না থাকায় যাত্রীবেশী অপরাধীরা সহজেই অপরাধ কার্যক্রম চালাতে পারছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। যাত্রী হয়রানির ঘটনা তো আছেই। লাগেজ নিয়েও ভোগান্তির অন্ত নেই। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা যানবাহনের অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
হযরত শাহজালাল, শাহ আমানত ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরে এভসেক, অ্যার্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন), একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা ও বেবিচকের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী নিরাপত্তায় দায়িত্বে নিয়োজিত। আনসার বাহিনীর সদস্যরাও দায়িত্বে আছেন। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের সমন্বয় না থাকায় এসব বাহিনীর মধ্যে দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রায়ই বিরোধ তৈরি হচ্ছে। বিরোধকে পুঁজি করে সামনে এসেছে একটি প্রভাবশালী মহল। এ সুযোগে প্রভাবশালী মহল আরেকটি বিশেষ বাহিনী গঠন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
প্রসঙ্গ উঠেছে ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে দেশের বিমানবন্দরগুলোর নিরাপত্তায় এয়ারপোর্ট আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশ গঠন করা হয়। বিমানবন্দরের নাজুক নিরাপত্তা ও চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য কারণেই সরকার ২০১০ সালে সাময়িকভাবে বিমানবন্দরে এপিবিএন নিয়োগ করে। কয়েক দিনের মধ্যেই নিরাপত্তায় সফলতা ও চোরাচালান, মানবপাচার বন্ধে প্রসংশিত হয় সর্বমহলে। অন্যান্য বাহিনীগুলোর অসহযোগীতা করলেও এপিবিএনের কার্যক্রমে নিস্তেজ নয়, তারা সুনির্দিষ্টভাবে এগিয়ে ছিল। কিন্তু ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশের প্রতি বিক্ষুদ্ধ জনতার হামলার আশঙ্কায় এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে এপিবিএন চলে গেছে। জরুরি অবস্থায় বিমানবাহিনী ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ আইনে সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে। এপিবিএনকে আর ভেতরে দায়িত্ব পালন করতে দেয়নি। সুযোগে সিভিল এভিয়েশনের দুর্নীতিবাদী কর্মচারী ও চোরাকারবারি সিন্ডিকেট একাকার হয়ে নানা অপরাধের স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছে। মানব পাচার, সোনা, মাদক পাচার, ডলার সিন্ডিকেটসহ অপরাধীরা ধাপিয়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ আছে ৫ আগস্টেও পরিপাতিত সরকারের বেশিরভাগ সহযোগীই বিমানবন্দর দিয়ে নিরাপদে পালানোর সুযোগ পেয়েছে।
এয়ারপোর্ট এপিবিএন সিও র প্রত্যাহার চাওয়া নিয়ে তোলপাড়:
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার বৈঠকের প্রায় ১৬ দিন পর এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) অধিনায়কের প্রত্যাহার চাওয়া নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এপিবিএনের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত ডিআইজি সিহাব কায়সার খান শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দিয়েছেন—এমন অভিযোগে বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) এয়ার কমোডর আসিফ ইকবাল পুলিশ প্রধানের (আইজিপি) কাছে সরাসরি চিঠি দিয়ে সিওর প্রত্যাহার দাবি করেছেন। বেবিচকের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন চিঠি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তিনি আইজিপির কাছে সরাসরি এ ধরনের চিঠি পাঠাতে পারেন কিনা? এছাড়া ওই বৈঠকের ১৬ দিন পর কেন এই চিঠি? বৈঠকে কোন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এপিবিএনের অধিনায়ক কী বক্তব্য রেখেছেন, যা শিষ্টাচারবহির্ভূত মনে হলো, এমন অনেক প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যার পর বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন আহমেদ বিমানবন্দর পরিদর্শনে যান। তিনি তখন বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব, বেবিচক চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, এপিবিএনের অধিনায়কসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা, ম্যাজিস্ট্রেট, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকের একপর্যায়ে উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এপিবিএনের অধিনায়ক সিহাব কায়সার খানের কাছে বাহিনীর বর্তমান কার্যক্রমসহ কিছু বিষয় জানতে চান। এপিবিএনের অধিনায়ক উপদেষ্টাকে সেসব অবহিত করেন। পাশাপাশি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে বিমানবন্দরে অবস্থান নিয়ে ব্যাখ্যা করেন। তিনি উপদেষ্টাকে বলেন,
“হঠাৎ করে বাংলাদেশে যখন পুলিশের কর্মবিরতির ব্যাপার ছিল, তখন ওই জায়গায় ওই ভ্যাকুয়ামের সময় কিউআরএফ ফ্রম এয়ার ফোর্স ডিপ্লয়মেন্ট হয়। আপনারা (বাংলাদেশ বিমানবাহিনী) যদি ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এ আসেন, তাহলে বর্তমানে সেনাবাহিনী যেভাবে কাজ করছে—জেলায় ও মেট্রোতে— তারা সবাই কিন্তু এইড করছে, কাকে? সিভিল পাওয়ারকে। মানে পুলিশকে এইড করছে। আপনারা তো আমাকে (এপিবিএন) এইড করছেন না, আপনি তো আমাকে রিপ্লেস করে ফেলেছেন, আমি তো আমার জায়গায় নেই।”
এসময়ে উপদেষ্টা বলেন, “আমরা পরবর্তীকালে বসে বিষয়টি সমাধান করবো।”
ওই বৈঠকের ১৬ দিন পর বেবিচকের সদস্য (নিরাপত্তা) মো. আসিফ ইকবাল পুলিশ প্রধানের (আইজিপি) কাছে চিঠি পাঠিয়ে এপিবিএনের সিও সিহাব কায়সার খানের ওই বক্তব্যকে শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে দাবি করেন। একইসঙ্গে ওই চিঠিতে এপিবিএনের অধিনায়ক সিহাব কায়সারকে প্রত্যাহার এবং অন্য কাউকে অধিনায়ক হিসেবে এপিবিএনে পাঠানোর কথা বলা হয়। চিঠির বিষয়ে বেবিচকের মুখপাত্র কাওছার মাহমুদকে জানতে চাইলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, “এ বিষয়ে এখনই মন্তব্য করা সমীচীন হবে না। আমি নতুন যোগদান করেছি। যিনি চিঠি দিয়েছেন, তার সঙ্গে কথা বললেই বিস্তারিত পাবেন। তবে এপিবিএনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি সিহাব কায়সার খান বাংলাবাজার পত্রিকাকে বলেন সরকার বিধিমতো আমরা দায়িত্ব পালন করছি। উপদেষ্টার বৈঠকে দেওয়া বক্তব্য কোনভাবেই শিষ্টাচারবহির্ভূত নয়। বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করছি। শিষ্টাচার বহির্ভূত বা বিধি বহির্ভূত বক্তব্য দিলে উপদেষ্টা মহোদয় তখনই বলতে পারতেন।”
খোঁজে জানা যায়, গত ১০ সেপ্টেম্বর পুলিশ সদর দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বেবিচক কর্মকর্তার চিঠি নিয়েও আলোচনা হয়। বেবিচকের কর্মকর্তা এ ধরনের চিঠি দিতে পারেন কিনা, তা নিয়ে বৈঠকে প্রশ্ন তোলা হয়।
সভায় পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, একটি বাহিনীর প্রধানকে তিনি এভাবে লিখতে পারেন না। তার কর্মপরিধিতে এমন এখতিয়ারও নেই। আর বিষয়টি ১৬ দিন আগের। যেখানে উপদেষ্টা নিজে ও মন্ত্রণালয়ের সচিব উপস্থিত ছিলেন। শিষ্টাচার লঙ্ঘিত হয়ে থাকলে মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো সমীচীন ছিল। কিন্তু তারা (মন্ত্রী ও সচিব) এ বিষয়ে কিছুই বলেননি। ১৬ দিন পর বেবিচকের একজন কর্মকর্তার এ ধরনের চিঠি পাঠানোর পেছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।
কর্মকর্তারা আরও বলেন, এপিবিএনের অধিনায়ক সিহাব কায়সার খান মিথ্যা বা বানোয়াট কিছুই বলেননি—যা সত্য, তিনি উপদেষ্টার কাছে তা তুলে ধরেছেন। পুলিশ সদর দফতরের বৈঠকে কর্মকর্তারা বলেন, এখানে শিষ্টাচার লঙ্ঘনের কোনও কিছুই ছিল না। ফলে বেবিচক কর্মকর্তা শিষ্টাচার লঙ্ঘনের অভিযোগে আইজিপিকে যে চিঠি দিয়েছেন, সেটি বরং আমাদের বিস্মিত করেছে।
জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট সাবেক সরকারের পতন হলে পরিস্থিতি বিবেচনায় অ্যার্মড পুলিশের সদস্যরা বিমানবন্দর ত্যাগ করেন। এ সময় ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় বিমানবাহিনীর সদস্যরা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে বাংলাদেশ পুলিশের অন্যান্য ইউনিট কাজে ফেরার আগেই এপিবিএন বিমানবন্দরে নিরাপত্তা রক্ষার কাজে যোগ দেয়। কিন্তু তারা আগের মতো বিমানবন্দরের এয়ারসাইটে যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।
গত ২৯ অক্টোবর এয়ারসাইটে এপিবিএনের কমান্ড সেন্টারকে নিজেদের অফিস বানায় বিমানবাহিনীর সদস্যরা। এরপর ওই অফিস থেকে গুরুত্বপূর্ণ নথি ও মালামাল খোয়া গেছে—অভিযোগ এনে বিমানবন্দর থানায় একটি জিডি করে এপিবিএন। পরে বিষয়টি নিয়ে চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশ সদর দফতরে আইজিপির উপস্থিতিতে বেবিচক কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে জিডি প্রত্যাহারের পর এপিবিএনকে আগের মতো এয়ারসাইটে ডিউটি করার প্রতিশ্রুতি দেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এরপর ১৭ ফেব্রুয়ারি এপিবিএন জিডি প্রত্যাহার করে। ১৮ ফেব্রুয়ারি এপিবিএন তাদের সদস্যদের এয়ারসাইটে মোতায়েন করতে চাইলে বেবিচক তাতে বাধা দেয়। এখন পর্যন্ত আইজিপিকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি বেবিচক। বর্তমানে এপিবিএন বিমানবন্দরের বাইরে (ল্যান্ড সাইট) দায়িত্ব পালন করছে।