স্ত্রীর অর্থ-সম্পদ লুটে নিয়ে ডিভোর্স দিলেন মুন্সীগঞ্জের যুবদল নেতা মুন্না

মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক মুন্নার বিরুদ্ধে ধর্মান্তরিত করে বিয়ের পর অর্থ-সম্পদ লুটে নিয়ে জোরপূর্বক ডিভোর্সের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক স্ত্রী।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ভুক্তভোগী গৃহবধূ মৌসুমী হক নামে ওই নারী সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় প্রেসক্লাবে প্রায় অর্ধশতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীর সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ ঢাকায় গ্রেফতার
ভুক্তভোগী নারী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০১১ সালে অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে প্রথম বিয়ে করে বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করে। এবং ২০২১ সালে এসে ধর্মান্তরিত করে মৌসুমী দাস থেকে মৌসুমী হক নামে তাকে পুনরায় বিয়ে করেন যুবদল নেতা মোজাম্মেল। পরে বিভিন্ন সময় তার কাছ থেকে ১৮ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা লুটে নেয় এবং মৌসুমীর রাজধানীর উত্তরার একটি ফ্ল্যাট দখলে নেন মোজাম্মেল হক মুন্না। দীর্ঘদিন সংসার করলেও গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আচমকা পরিবর্তন হতে শুরু করে সে। একপর্যায়ে চলতি বছরে জোরপূর্বক তাকে ডিভোর্স দেন।
নারী আরও অভিযোগ করেন, ডিভোর্সের পর লুটে নেওয়া অর্থ-স্বর্ণালংকার ফের চাইলেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখেন মুন্না, দখলে রাখা ফ্ল্যাটও ছাড়ছেন না বরং এ ঘটনায় আদালতে মামলা করলে বিভিন্ন সময় হুমকি ধমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় অর্থ-সম্পদ ও যথাযথ বিচারের দাবি জানান সংবাদ সম্মেলনে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজার সৈকতের বালিয়াড়িতে দোকান উচ্ছেদের নির্দেশ
ভুক্তভোগী আরও বলেন, মুন্না আমাকে ছাড়াও আরও তিনটা বিয়ে করেছে। এরমধ্যে একই ঘরের দুই বোনকে বিয়ে করেছেন। তিনি এখন ক্ষমতা দেখিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মুন্সীগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মোজাম্মেল হক মুন্নাকে পাওয়া যায়নি।