খড় কাটা নিয়ে চরে গোলাগুলি, নিহত ২

Sadek Ali
আমানুল্লাহ আমান, রাজশাহী
প্রকাশিত: ১১:১১ পূর্বাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ১১:১১ পূর্বাহ্ন, ২৮ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মা নদীর চর এলাকায় জন্মানো আগাছা জাতীয় খড় কাটাকে কেন্দ্র করে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন দুজন। এ ঘটনায় আরও দুজন আহত হয়েছেন। সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুপুরে চর খানপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাঘা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহতরা হলেন- চর খানপুরের মিনহাজ মন্ডলের ছেলে আমান মন্ডল (৩৬) ও একই গ্রামের শুকুর মন্ডলের ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৩)। আহতরা হলেন- চরের আশরাফ মন্ডলের ছেলে রাকিব হোসেন (১৮) ও চান মন্ডলের ছেলে মুনতাজ মন্ডল (৩২)।  

আরও পড়ুন: ভৈরবে দাবি আদায়ে নৌপথ অবরোধ

হতাহত পরিবারের সদস্যরা জানান, সোমবার সকালে আমান, রাকিব ও মুনতাজ চরে খড় কাটতে যান। এ সময় কাকন বাহিনী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে আমান, রাকিব, মুনতাজ ও নাজমুল হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নেওয়া হলে আমান ও নাজমুল মারা যান। এছাড়া গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন মুনতাজ ও রাকিব।

নিহত আমানের বাবা মিনহাজ বলেন, চরের ওই জায়গাগুলো পতিত অবস্থায় ছিল। সেখানে আমার ছেলে ও আরও কয়েকজন খড় কাটতে যায়। এ সময় কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার কাকন বাহিনীর লোকজন এসে অতর্কিতভাবে গুলি ছোড়ে। ছেলের গায়ে গুলি লাগে, সে মারা গেছে। আমি বিচার চাই। 

আরও পড়ুন: সাভারে হেরোইনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

খানপুর গ্রামের বেলাল হোসেন বলেন, কাকন বাহিনীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে খড় কাটা জমির দখল নিতে এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়েছে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়। এ সময় বাহিনীর লোকজন পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নিহার চন্দ্র মন্ডল বলেন, নিহত এবং আহতদের শরীরে অসংখ্যা গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের রাজশাহী হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

বাঘা থানা পুলিশের ওসি আ ফ ম আছাদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর চরের। এরিয়াটি আমাদের রাজশাহীর বাঘা থানা এলাকায় নয়।

তবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, আমি যতটুকু নিশ্চিত হয়েছি, এটা রাজশাহীর বাঘা ও নাটোরের লালপুর থানা এলাকায়।

এ বিষয়ে নাটোরের লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুজ্জামান বলেন,  আহত ও নিহতের মধ্যে লালপুরের কেউ নেই। ঘটনাস্থল লালপুর হরিরচর থেকে তিন-চার কিলোমিটার দক্ষিণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের দিকে।