টঙ্গীর সেই খতিব পুলিশের নিরাপত্তা হেফাজতে, ‘অপহরণ’ গল্প স্বীকারোক্তিতে ভেঙে গেল
গাজীপুরের টঙ্গীর টিঅ্যান্ডটি কলোনি জামে মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে ‘অপহৃত’ নয়, বরং স্বেচ্ছায় পঞ্চগড় গিয়েছিলেন বলে তদন্তে উঠে এসেছে। তাকে সোমবার রাতে নিরাপত্তা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশের কাছে তিনি ঘটনাটির আসল কারণ স্বীকার করেছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, ইমাম মুহিবুল্লাহ অপহৃত হয়েছেন— এমন দাবি তদন্তে প্রমাণিত হয়নি। তিনি নিজেই শ্যামলী পরিবহনের বাসে করে পঞ্চগড়ে গিয়েছেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বাসের টিকিট, বাসচালক, সুপারভাইজার ও সহযাত্রীদের জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি নিশ্চিত হয়।
আরও পড়ুন: ভৈরবে দাবি আদায়ে নৌপথ অবরোধ
ওই কর্মকর্তা বলেন, “ইমাম মুহিবুল্লাহ আমাদের হেফাজতে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাকে আজ (২৮ অক্টোবর) আদালতে তোলা হবে। পরে বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করা হবে।”
এর আগে ২২ অক্টোবর সকালে টঙ্গীর বাসা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তিনি নিখোঁজ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। পরদিন সকালে পঞ্চগড়ের একটি সড়কের পাশ থেকে শিকলবন্দি অবস্থায় তাকে ‘উদ্ধার’ দেখানো হয়। ঘটনাটি নিয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় অপহরণ মামলা হয় এবং ইসকনের বিরুদ্ধে ‘অপহরণের অভিযোগ’ উঠেছিল।
আরও পড়ুন: সাভারে হেরোইনসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার
তবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তিনি একাই হেঁটে শিলমুন এক্সিস লিংক সিএনজি স্টেশনের সামনে দিয়ে যান এবং সেখানে কোনো অ্যাম্বুল্যান্স বা জোরপূর্বক গাড়িতে তোলার ঘটনা ঘটেনি।
আলজাজিরার সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের শেয়ার করা ভিডিও ফুটেজেও দেখা যায়— সকাল ৬টা ৫২ মিনিটে তিনি বাসা থেকে বের হন এবং ৭টা ১৮ মিনিটে স্টেশনের সামনে সোজা পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। স্টেশনের চারটি ক্যামেরার কোনো ফুটেজেই অপহরণের দৃশ্য নেই।
ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপকও নিরাপত্তা সংস্থাকে জানিয়েছেন— সেখানে অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি।





