জেন জি বিক্ষোভে উত্তাল নেপাল, নিহত বেড়ে ১৪

দুর্নীতি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিষিদ্ধের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে নেপাল। রাজধানী কাঠমান্ডুতে জেন জি প্রজন্মের বিক্ষোভে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়িয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিমালয়ান টাইমস, বিভিন্ন হাসপাতালের বরাতে।
শতাধিক বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন। রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: নেপালে পার্লামেন্ট ভবনে আগুন, দেখামাত্র গুলির নির্দেশ
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে ছয়জন ন্যাশনাল ট্রমা সেন্টারে, তিনজন সিভিল হাসপাতালে, তিনজন এভারেস্ট হাসপাতালে, একজন কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজে এবং একজন ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় টিচিং হাসপাতালে মারা গেছেন। আহত রোগীর সংখ্যা নির্দিষ্ট না হলেও সিভিল হাসপাতাল ও ট্রমা সেন্টারে চাপ বেড়ে যাওয়ায় অনেককে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হচ্ছে। প্রশাসন জানিয়েছে, মৃত ও আহতদের মধ্যে অনেকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করলে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জলকামান, টিয়ারগ্যাস ও গুলি ব্যবহার করে। এতে বহু বিক্ষোভকারী আহত হন।
আরও পড়ুন: নেপালে বিক্ষোভে ভয়াবহ সহিংসতা, রাজধানীতে সেনা মোতায়েন, নিহত ৬
সরকারের দুর্নীতি ও ২৬টি অনিবন্ধিত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম—যার মধ্যে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব ও স্ন্যাপচ্যাট রয়েছে—নিষিদ্ধের প্রতিবাদে তরুণরা রাজপথে নেমেছে।
এখন পর্যন্ত বিক্ষোভ রাজধানী কাঠমান্ডুতেই সীমাবদ্ধ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঠমান্ডু জেলা প্রশাসন দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কারফিউ জারির ঘোষণা দিয়েছে। তবে অনেকেই কারফিউ অমান্য করে রাজপথে অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবন শীতল নিবাস, ভাইস প্রেসিডেন্টের বাসভবন, রাজপ্রাসাদ সিংহ দরবার, প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় দৈনিক কাঠমান্ডু পোস্ট।