গাজা সিটি থেকে পালানোর অস্থায়ী পথ খুলল ইসরাইল, জীবনের নিশ্চয়তা নেই

ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা সিটি থেকে বাসিন্দাদের পালাতে ৪৮ ঘণ্টার জন্য অস্থায়ী পথ খুলে দিয়েছে ইসরাইল। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র অ্যাভিচাই আদ্রি ঘোষণা করেন, সালাহউদ্দিন সড়ক হয়ে দক্ষিণমুখী হওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এই পথ সরাসরি দক্ষিণের সঙ্গে যুক্ত নয়, বরং নেটজারিম করিডর হয়ে যেতে হবে, যা গত বছর সামরিক অঞ্চল ঘোষণা করে ইসরাইল।
আদ্রি জানান, সালাহউদ্দিন সড়কের ভেতর দিয়েও দ্বিতীয় বিকল্প পথ খোলা হবে। এই রুট মূল পথের তুলনায় প্রায় ১.৬ কিলোমিটার দীর্ঘ। গাজাবাসীর অনেকে গহনা বিক্রি করে যাত্রা ও তাঁবুর খরচ জোগাড় করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মুক্তির পথ নয়, বরং অনিশ্চিত জীবনের দিকে ঠেলে দেওয়ার কৌশল।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া স্বীকৃতি দিলো ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে
এদিকে শহরটিতে হামলা আরও বাড়িয়েছে ইসরাইল। শেখ রাদওয়ান এলাকায় বোমা ভর্তি রোবট ব্যবহার করে হামলা চালানো হয়েছে। আল-রানতিসি শিশু হাসপাতালে ধারাবাহিক তিন দফা হামলার অভিযোগ তুলেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যদিও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি, তবে প্রায় ৪০ জন রোগী পালিয়ে গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৫১ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, এর মধ্যে ৩৮ জন গাজা সিটির বাসিন্দা। চলমান স্থল হামলায় ইসরাইলের দুটি ডিভিশনের ২০ হাজার সেনা অংশ নিচ্ছে। শহরের টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় গাজা এখন কার্যত বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৯১ ফিলিস্তিনি
এদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার পরিকল্পনা করছে ইউরোপীয় কমিশন। ইইউর বৈদেশিক নীতি প্রধান কাজা কাল্লাস সতর্ক করে বলেছেন, এ পদক্ষেপ ইসরাইলের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তবে এটি কার্যকর করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন প্রয়োজন।
৭ অক্টোবর ২০২৩ থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় ৬৪ হাজার ৯৬৪ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৫ হাজার ৩২১ জন আহত হয়েছেন।