ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে

তরুণরাই জাতির চালিকাশক্তি: প্রধান উপদেষ্টা

Any Akter
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ১:০৭ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | আপডেট: ৩:০২ অপরাহ্ন, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, তরুণরা সক্রিয় থাকলে দেশের কোনো সমস্যাই অমীমাংসিত থাকতে পারে না। তিনি যুবসমাজকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “তোমাদের মেধা, শক্তি ও সৃজনশীলতা দিয়ে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখো। তোমাদের সাফল্য কেবল ব্যক্তিগত অর্জনে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যদের জন্যও অনুকরণীয় হোক।”

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে আয়োজিত ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া সচিব মাহবুব আলম।

আরও পড়ুন: এটিইউ প্রধানের সঙ্গে এফবিআই কর্মকর্তাদের মতবিনিময়

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আজ আমরা তারুণ্যের শক্তিকে উদযাপন করছি। এটিই আমাদের জাতির চালিকাশক্তি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যখন একটি দেশের যুবসমাজ সক্রিয়, উদ্যমী এবং উদ্ভাবনী শক্তিতে বলীয়ান হয়, তখন কোনো প্রতিবন্ধকতাই তাদের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে রাখতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, তরুণদের উদ্ভাবনী শক্তি এখন শিক্ষাক্ষেত্র ছাড়িয়ে স্বাস্থ্যসেবা, পরিবেশ সুরক্ষা, দারিদ্র্য বিমোচন ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায়ও অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। “এই তরুণরাই চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছে, যুগে যুগে ইতিহাস রচনা করেছে,” যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: সহিংসতা ও ভীতি প্রদর্শনের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী কূটনৈতিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে

ইউনূস বলেন, স্বেচ্ছাসেবা শুধু আর্তমানবতার কল্যাণেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আত্ম-উন্নয়ন, চরিত্র গঠন ও নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশের অন্যতম মাধ্যম। “আমরা চাই তরুণরা শুধু স্বেচ্ছাসেবক নয়; নীতি নির্ধারক, উদ্ভাবক ও পরিবর্তনের স্থপতি হোক।”

তিনি তরুণদের উদ্দেশে বলেন, “আজকের এই পুরস্কার কেবল একটি স্বীকৃতি নয়, এটি তোমাদের জন্য উদাত্ত আহ্বান। তোমরা আরও সাহসী হও, আরও নেতৃত্ব দাও এবং সমাজের কল্যাণে নতুন ধারণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করো।”

তরুণদের ছোট ছোট প্রচেষ্টা দেশের বড় অর্জনে রূপ নিতে পারে বলে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা উদাহরণ টেনে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে তাদের ক্ষুদ্র উদ্যোগ হাজারো শিশুকে রোগমুক্ত রাখতে পারে, শিক্ষাক্ষেত্রে সামান্য প্রচেষ্টা শিক্ষার মানকে বহুদূর এগিয়ে নিতে পারে এবং পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিত প্রয়াস ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সবুজ পৃথিবী নিশ্চিত করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, “স্বেচ্ছাসেবা বা মহৎ উদ্যোগের পথ কখনোই মসৃণ নয়। সময়, অর্থ ও মানসিক চাপের মতো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেই তরুণদের ধৈর্য, সহনশীলতা এবং নেতৃত্বের মতো গুণাবলি অর্জন করতে হবে। আমরা চাই তরুণরা নতুন নীতি, যুগান্তকারী ধারণা এবং সামাজিক পরিবর্তনের অগ্রদূত হয়ে উঠুক। তাদের সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশ উন্নত, মানবিক ও উদ্ভাবনী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”