স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৪:২৬ অপরাহ্ন, ১০ অক্টোবর ২০২৫ | আপডেট: ৪:২৬ অপরাহ্ন, ১০ অক্টোবর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “আমাদের স্কুল ফিডিংয়ে দুধ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ডিমও যুক্ত করতে হবে। অনেক দরিদ্র শিশু পুষ্টিহীনতায় ভোগে। স্কুলের খাবার তালিকায় ডিম অন্তর্ভুক্ত করা হলে শিক্ষার্থীদের অপুষ্টি দূরীকরণে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

আজ সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি)-তে বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (পিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখা (ওয়াপসা-বিবি)।

আরও পড়ুন: বিচারকদেরও জবাবদিহিতা থাকা উচিত: ট্রাইব্যুনালের অভিমত

ফরিদা আখতার বলেন, “ডিম এমন এক খাদ্য যা দেশের প্রায় সব শ্রেণির মানুষ কোনো না কোনোভাবে এর সঙ্গে যুক্ত। গরুর মাংস সবাই ক্রয় করতে না পারলেও ডিম একটি সাশ্রয়ী খাদ্য যা সকলের নাগালে।”

তিনি আরও বলেন, “শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে ছয় বছর বয়সের মধ্যেই প্রয়োজনীয় পুষ্টির যোগান দেওয়া জরুরি। তাই স্কুল ফিডিং প্রোগ্রামে ডিম যুক্ত করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”

আরও পড়ুন: রোমে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

উপদেষ্টা জানান, দেশের ৮০ শতাংশ ডিম আসে প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে, যেখানে গ্রামীণ নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। তারা পরিবার ও স্থানীয় পর্যায়ে পুষ্টির সরবরাহে অবদান রাখছেন।

কৃষিতে কীটনাশক ব্যবহারের কারণে মুরগি পালন ঝুঁকিতে পড়ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, “হাওড়ের হাঁসের ডিমের বিষয়ে প্রচার খুব সীমিত। এ বিষয়ে আরও প্রচার বাড়াতে হবে।”

পুষ্টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের কমপ্লিট ফুড নিয়ে কথা বলতে হবে— যেখানে সবজি, মাছ, মাংস এবং ডিমের গুরুত্ব তুলে ধরতে হবে। ডিম খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে— এ বিষয়টি জনগণের মাঝে প্রচার করতে হবে।”

ডিমের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “মৌসুমভেদে ডিমের দাম ওঠানামা করে, কিন্তু অনেক সময় মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি হয়। এ বিষয়ে নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে হবে এবং যারা অনিয়মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক এবং ওয়াপসা-বিবি’র সাবেক সভাপতি মসিউর রহমান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইলিয়াস হোসেন ও অধ্যাপক ড. মাহমুদুল হাসান সিকদার।