গোঁজামিল না দিয়ে খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের বাজেট দিন: ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তর

Abid Rayhan Jaki
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ন, ০৪ জুন ২০২৪ | আপডেট: ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন, ১৪ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

এদিক-সেদিক করে কিছু পণ্যের দাম কমবেশ করে ঋণনির্ভর গোঁজামিল দিয়ে বিশালাকারের বাজেট পেশ করলেই অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না। অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে আমদানী-রপ্তানির নামে বিদেশে টাকা পাচার, চিকিৎসার নামে মুদ্রা পাচার, রিজার্ভ ও ব্যাংক লুটপাট বন্ধ করতে হবে। দলীয় সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দ্রব্যমূল্য সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। সামথিং কর পে করে কালো টাকা সাদা নয় আড়ৎদারী, মজুতদারী, কালোবাজারী ও দুর্নীতি করে হাতিয়ে নেয়া সকল টাকা-ই রাজস্ব ফান্ডে জমা দিতে হবে। খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে ভর্তূকী দিয়ে আমদানী নয় উৎপাদন নির্ভর বাজেট পেশ করতে হবে এবং কৃষককে উৎপাদনে ভর্তুকী ও উৎসাহিত করতে হবে।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সহকারী মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: অসহায় পরিবারের দুই শিশুকে চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকশা দিলেন তারেক রহমান

তিনি আরো বলেন, সরকার খাদ্যপণ্যের দাম কমাতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। খাদ্যপণ্যের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন না বাড়িয়ে পাশের রাষ্ট্র থেকে উচ্চ মূল্যে খাদ্যপণ্য আমদানী করেছে। এটা আমাদের অস্তিত্বকে হুমকীর মুখে ফেলে দিয়েছে। তিনি সরকারের প্রতি আহবান করেন, রিজার্ভ নিয়ে যে সংকট তৈরী হয়েছে তা পরিস্কার করুন। উচ্চবিলাসী মেগা প্রকল্প না বাড়িয়ে চাল, ডাল, তেল, নুনের দাম কমানোর বাজেট দিন। “বাজেটে মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটবে” অর্থমন্ত্রীর এমন সস্তা কথায় গরীব-দুঃখী মানুষের পেটে ভাত ঝুটবে না। খাদ্যের চাহিদা মেটাতে হলে ধান, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, মাছ, পোল্ট্রি ও গবাদিপশু উৎপাদন ও লালন-পালনে কৃষককে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে হবে। দেশ ও মানুষ বাঁচাতে কৃষকের স্বার্থে উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।