শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর ছাত্রলীগ-বিএনপির ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর ছাত্রলীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন পথচারীসহ ছয়জন। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও ঘটে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পিআর পদ্ধতির দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রাজা রুকুকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে পৌর শহরের সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি। তারা কলেজে থেকে বের হওয়ার সময় পেছন থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ঘটে। এ সময় সেখানে একটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় ছয়জন আহত হন।
আরও পড়ুন: চবি ছাত্রসংসদ নির্বাচনে বিতর্ক: হাতে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রদলের
এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লার মোবাইল নম্বরে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের ছেলেরা দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে হামলা করে। তারা পরিকল্পিত ভাবেই আগে থেকে লাঠি সোটা নিয়ে এসেছিল। ফিরে যাওয়ার সময় তারা একা পেয়ে ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রাজা রুকুকে কুপিয়ে আহত করে। একটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়।
তবে পাল্টা অভিযোগ করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ। তিনি বলেন, শ্রদ্ধা জানানো শেষে কলেজের বাইরে গেলে ভেতর থেকে আমাদের লক্ষ্য করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় আমাদের নেতাকর্মীরা ঘুরে গিয়ে প্রতিহত করে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তারা আমাদের ভয় দেখাতে সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে রুকুর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।