আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি-খুনের ফ্যাক্টরি: ফয়জুল করীম

ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও প্রশাসনকে দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম। তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদ হত্যা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করেছিল, আর সোহাগ হত্যায় বিএনপির মসনদও ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।’
শনিবার (১২ জুলাই) বিকেলে বরিশাল শহরের অশ্বিনী কুমার হলে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মামলায় নেই অগ্রগতি, সাড়ে তিন বছরেও চার্জশীট দেয়নি দুদক
শায়েখে চরমোনাই বলেন, “এই হত্যাকাণ্ডের দায় বিএনপি এড়িয়ে যেতে পারে না। লোক দেখানো বহিষ্কারের মাধ্যমে দায় মুক্তি সম্ভব নয়। বিএনপি এ পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে। কিন্তু বহিষ্কারের কারণে চাঁদা, খুন, জুলুম কমেনি। বহিষ্কার আসলে কিছুই না, আইওয়াশ, লোক দেখানোর নিয়ম। তারা বলে ব্যক্তি দোষ করলে দল তার দায় দায়িত্ব নেবে না। আমি মনে করি আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুর্নীতি-খুনের ফ্যাক্টরি।
তিনি আরও বলেন, “দেশজুড়ে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট চালিয়ে বিএনপি যদি মনে করে ক্ষমতায় আসা যাবে তা কখনোই সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: ৭২ ঘন্টা আল্টিমেটাম শেষে ফের মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের
মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “চাঁদা না পেয়ে যুবদলের নেতাকর্মীরা প্রকাশ্যে পাথর ছুড়ে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করেছে। এই বর্বরতা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের চেয়েও ভয়ঙ্কর। এখন মামলাকে ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা চলছে, সরকার ও প্রশাসন অপরাধীদের রক্ষা করতে সক্রিয়।”
শায়েখে চরমোনাই আরও বলেন, “আমাদের রাজনীতি জনকল্যাণের জন্য, হত্যাকাণ্ডের জন্য নয়। যারা রাজনীতিকে লুটপাট ও অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার বানিয়েছে, তারাই দেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে।”
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকী। সভাপতিত্ব করেন নগর সভাপতি হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করীম। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা মো. সুলাইমান এবং নগর সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাহিদুল ইসলাম।
এছাড়া সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন উপাধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক মাওলানা আলামিন, অধ্যাপক লোকমান হাকিম, মাওলানা আবুল খায়ের আশরাফী, মাওলানা কাওছারুল ইসলাম, মাওলানা আরিফুল রহমান, হাফেজ মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আরমান হোসেন রিয়াদ, মাওলানা শাকিল মাহমুদ, মাওলানা আইয়ুব আনসারী প্রমুখ।
সমাবেশে বরিশাল জেলা ও মহানগরের শতাধিক নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন।