৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদে দুদকের মামলা

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পিএস হারুন বিশ্বাসের ৫৭ কোটি টাকার ব্যাংক লেনদেন

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার রিপোর্ট
প্রকাশিত: ৮:২৬ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫ | আপডেট: ২:২৬ অপরাহ্ন, ০৬ অগাস্ট ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত ১৫ বছরের সবচেয়ে প্রভাবশালী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামালের একান্ত সচিব হারুন বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।  এছাড়াও ব্যাংক হিসেবে অস্বাভাবিকভাবে ৫৭ কোটি টাকা লেনদেন তথ্য  পেয়েছে দুদক।  পুলিশে নিয়োগ বদলি বাণিজ্য জায়গা জমি দখল মাদক ব্যবসা মোদির বারের লাইসেন্স সহ সরাসরি অংশীদার হয়ে অবৈধ প্রভাব কাদি বিপুল টাকা উপার্জনের অভিযোগ শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে।

বুধবার (৬ আগস্ট) দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করলেন স্বাধীন

দুদকের মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস তাঁর জ্ঞাত আয়ের উৎসের বাইরে ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৩৩ হাজার ৮৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এর পাশাপাশি তাঁর নিজের এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাব থেকে ২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার বেশি জমা এবং ২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বেশি উত্তোলনের তথ্য পাওয়া গেছে। সব মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭০ লাখ ১১ হাজার ৭৩৯ টাকার সন্দেহজনক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।

এইসব অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: রংধনু গ্রুপের মালিক আন্ডা রফিকের ৮৭৮ কোটি টাকা পাচারে মামলা ও সম্পত্তি ক্রোক

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, পুলিশের ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফ মাহমুদ অপুর বিরুদ্ধেও পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে দুদক।

ওইসব মামলায় ধনঞ্জয় কুমার দাসের বিরুদ্ধে ২ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, শরিফ মাহমুদ অপুর বিরুদ্ধে ৫৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকা এবং ডিআইজি মোল্যা নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৯৪ লাখ ১ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল।

একই দিনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং তাঁর এপিএস মনির হোসেনের বিরুদ্ধেও চারটি মামলা করা হয়। এসব মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ১০০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।