৫ যুগ পর রাজধানী থেকে সরছে গোল্ডলিফ-বেনসনের কারখানা

Sanchoy Biswas
বাংলাবাজার ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:৩৪ অপরাহ্ন, ২০ জুন ২০২৫ | আপডেট: ১২:১৩ অপরাহ্ন, ১১ নভেম্বর ২০২৫
ছবিঃ সংগৃহীত
ছবিঃ সংগৃহীত

অবশেষে ৫ যুগ পর ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের (বিএটি বাংলাদেশ) নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ায় স্থানান্তর করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ডিএসইর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের নতুন অফিসের ঠিকানা হবে: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, দেহোরা, ধামসোনা, বলিভদ্র বাজার, আশুলিয়া, ঢাকা-১৩৪৯। একই দিনে বন্ধ হয়ে যাবে কোম্পানিটির ঢাকা কারখানার কার্যক্রম।

আরও পড়ুন: রাজনীতি স্থিতিশীল থাকলে অর্থনীতি আরও এগোবে: গভর্নর

এসময় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারের দাম ছিল ২৮৪ দশমিক ৯০ টাকা। কোম্পানিটি ২০২৪ সালে ৩০০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১০০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ ও ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

১৯৬৫ সালে যখন ঢাকার মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের এই কারখানা স্থাপন করা হয়, এটি ছিল বাংলাদেশে তাদের দ্বিতীয় কারখানা। 

আরও পড়ুন: পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে এলো আমদানি–নিষিদ্ধ পপি বীজ

এর আগে, ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে প্রথম কারখানা স্থাপন করা হয়। মহাখালীর এই কারখানা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় পরিবেশবাদীরা তা সরানোর দাবি করে আসছিলেন অনেক দিন ধরে।

জানা যায়, কারখানার জায়গা ইজারা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছিল কোম্পানিটি। প্রতি ইজারা চুক্তির মেয়াদ ৩০ বছর এবং মেয়াদ নবায়নের সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৯০ বছর পর্যন্ত। 

৬০ বছর কার্যক্রম পরিচালনার পর বাকি ৩০ বছরের জন্য ইজারা নবায়নের আবেদন করেছিল বিএটি বাংলাদেশ, কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা নবায়ন না করলে কোম্পানিটি আইনি লড়াইয়ে নামে।

কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২৮ মে বিএটি বাংলাদেশের করা আপিল খারিজ করে দেন। এরপর আজ বিএটি বাংলাদেশ প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিলো।