চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষ, ১৪৪ ধারা জারি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ও আশপাশের এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
রোববার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টা থেকে আগামীকাল সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টা পর্যন্ত এই ধারা বলবৎ থাকবে। দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুন: অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা বাকৃবি
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট বাজার থেকে পূর্বদিকে রেলগেট পর্যন্ত এলাকায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ওই এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ, বিক্ষোভ, মিছিল, পাঁচ বা ততোধিক ব্যক্তির জমায়েত এবং অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
দুপুর আড়াইটার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চবির তিনটি বাসে করে আহত শিক্ষার্থীদের আনা হয়। তাদের মধ্যে অনেককে স্ট্রেচারে এবং কোলে করে জরুরি বিভাগে ভর্তি করানো হয়।
আরও পড়ুন: সাত দফা দাবিতে পটুয়াখালী পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল
চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন জানান, এখন পর্যন্ত ৪০ জনের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন।
চবি ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি মামুন উর রশীদ মামুন বলেন, আরও আহতদের মেডিকেলে আনা হচ্ছে।
শনিবার রাতের পর রোববার দুপুরে ফের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের এক শিক্ষার্থী (নারী) ২ নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় ফিরতে গেলে দারোয়ানের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়ান। একপর্যায়ে দারোয়ান তাকে মারধর করলে ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
পরে শিক্ষার্থীরা দারোয়ানকে ধরতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে উত্তেজনা দেখা দেয়। স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে জড়ো হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসের মসজিদের মাইক ব্যবহার করে সংঘর্ষে অংশ নেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরসহ অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের অনেককে চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হলেও গুরুতর আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
চবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ডা. মুহাম্মদ টিপু সুলতান জানান, বহু শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
টানা দুই ঘণ্টার সংঘর্ষের পর প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করে।